সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় ফেলে দেয় তৃণমূল নেতার সঙ্গে এক ফ্রেমে বিজেপি বিধায়ক হিরণের একটি ছবি। বাংলার রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেয় এই জল্পনা যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।
সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় ফেলে দেয় তৃণমূল নেতার সঙ্গে এক ফ্রেমে বিজেপি বিধায়ক হিরণের একটি ছবি। বাংলার রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেয় এই জল্পনা যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বঙ্গে বাড়ি তৈরির কাজ দেখতে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এত অভিযোগ পেয়েছে যে, তা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সরকারি সূত্রের খবর, স্কুলে স্কুলে যথাযথ পরিমাণে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে মিড-ডে মিল খাওয়ানো হচ্ছে কি না, মূলত সেটাই খতিয়ে দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের দল। এই পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্প চালানোর ক্ষেত্রে কী কী ‘সতর্কতা’ প্রয়োজন, তা জানিয়ে স্কুলগুলিকে সচেতন করছে শিক্ষা দফতর। ডিআই বা জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দফতর থেকে এ বিষয়ে স্কুলগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলেও শিক্ষা সূত্রের খবর।
শুভেন্দুকে বাংলার মানুষকে আলো দেখাচ্ছেন। সর্বস্ব দিয়ে এই রাজ্যের গণতন্ত্র বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। বৃহস্পতিবার, এক সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী।
আরও চাপে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র জেরায় এমনই বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল যুব নেতার। প্রাক্তন শিক্ষান্ত্রীর সেক্রেটারির হাত দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি কুন্তলের। প্রথম দিকে ইডি আধিকারিকদের তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন কুন্তল ঘোষ। তবে টানা জেরায় ভেঙে পড়েন তিনি।
রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান ঘিরেও রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত রইল। এই ইস্যুতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বিজেপি বাংলার শত্রু, বাংলা ভাষার শত্রু। রাজ্যপাল বাংলা ভাষাকে ভালবাসছেন তা দেখে ওদের গা জ্বলছে। বাংলা ভাষার ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে রাজ্যপাল যদি বাংলা শিখতে চান তবে তাঁকে তো উৎসাহিত করা উচিত।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, রাজভবন তথা রাজ্যপালের উপর চাপ বাড়াতে বঙ্গ বিজেপিকে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এমন নির্লজ্জ আক্রমণ করাচ্ছে। তিনি বলেন, "ওরা ভয় দেখাচ্ছে, বিজেপির একাংশকে দিয়ে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জগদীপ ধনখড়ের মতো পার্টির লোকের আচরণ করা রাজ্যপালের ভূমিকা দেখে ওদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ওরা চাইছে রাজভবন ফের বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে যাক।"
বিজেপির তরফে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেছেন, "প্রথমেই যদি ভুল মাষ্টারের হাত ধরে হাতেখড়ি হয় তাহলে তো ভুলই শিখবেন। তাহলে ভাল শিক্ষক বাছাই করুন। অবশ্যই বাংলা শেখা উচিত। বাংলা সাহিত্য পড়লে আরও ভাল লাগবে।"
হাইকোর্টে তখন শুনানি চলছে। এজলাসে বসেই নিম্ন আদালতের বিচারককে ফোন করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ফোনে নির্দেশ দিলেন, 'দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করুন।' জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন শিউলি সাহা। ২০২০ সালে অগস্ট মাসে প্রয়াত হন তিনি। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। পুত্রসন্তানের বয়স এখন ১৫। মেয়ের মৃত্যুর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিউলির বাবা জীবনানন্দ বর্মন।
নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির বিচারে এক পথে দুই বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পাশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে অনুরূপ নির্দেশ বিচারপতি বসু'র।
লিপিকা সাধুখাঁ মামলায় আজ এই নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও এর আগে ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন,৩১ জানুয়ারি মধ্যে গ্রুপ ডি বিকৃত ৪৪৮৭ টি ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। লক্ষ্মী টুংগা মামলায় ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি এই মামলাতেই গ্রুপ ডি বেআইনি নিয়োগ রহস্যের আর্থিক লেনদেন খুঁজে বার করতে ED কে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাড়ি তৈরি না করা গেলে রাজ্যের বরাদ্দ কোটা অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় রাজ্যকে অনুমোদন দেওয়ার সময় এমনটাই শর্ত দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে। যদিও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ফের তাদের সিদ্ধান্ত বদল করল।
গুরুতর অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপের অভিযোগে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এবার যুক্ত হল কেন্দ্রীয় সংস্থা CAG। এর পাশাপাশি এই মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকেও যোগ করার সিদ্ধান্ত জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। কয়েক সপ্তাহ আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে এই বিরাট অঙ্কের তছরুপের মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।
মেঘালয়কে মডেল রাজ্যে পরিণত করাটাই টার্গেট। ইতিমধ্যে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই ভিশন ডকুমেন্ট গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে মেঘালয় কী করতে পারে। অভিষেকের দাবি, সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পরই এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। যারা যারা তৃণমূলকে বহিরাগত দল হিসাবে দেগে দিয়েছে, মেঘালয়ের সেই দলগুলিকেও তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
নবম - দশম স্তরে নিয়োগের জন্য ফের কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কমিশন। মূলত নবম দশম এ ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে থেকেই এই কাউন্সেলিং হবে। এর আগেও নবম দশমের ওয়েটিংলিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের মধ্য থেকে কাউন্সিলিং করেছিল এসএসসি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী।
চলতি মাসেই রাজ্যজুড়ে 'জয় জহর মেলা'র আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। মূলত আদিবাসী কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে রাজ্যের ১৫ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ১০২ টি ব্লককে এ’জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি একই সঙ্গে এই ব্লকগুলিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রতি ব্লকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিটি মেলায় সেই এলাকার আদিবাসী মানুষকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করা হবে।
তৃণমূল ও আইএসএফের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলায় ফের উত্তেজনা ছড়াল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। এই ঘটনায় দু-পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকেই এই ঝামেলা শুরু হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালেও এই ঝামেলার রেশ চলছে। অভিযোগ, দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে এই ঝামেলা শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, শনিবার আইএসএফের একটি সভা ছিল কলকাতার রানি রাসমণি রোডে। আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এই সভা। শনিবার ভাঙড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীরা কেউ বাইকে, কেউ পিকআপ ভ্যানে, কেউ ছোট ট্রাকে হাতিশালা এলাকার উপর দিয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন, অভিযোগ সেই সময় হামলা করা হয়।
এলাকার তৃণমূল কর্মীরা হাতিশালায় জমায়েত করে আইএসএফের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট, লাঠি ছুড়তে থাকেন। এরপরই লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে এই খবর পেয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে যাওয়ার বার্তা দেন। হাতিশালায় এক জায়গায় সমবেত হন আইএসএফ কর্মীরা। অভিযোগ, এরপর আরও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূল ও আইএসএফের কর্মীরা মুখোমুখি হন হাতিশালা এলাকায়। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও চাপে শাসক দল তৃণমূল। এবার ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গত ২৪ ঘণ্টা তাঁর নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এরপর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমনটাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। যদিও এদিন গ্রেফতারির পর কুন্তল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'এটা তাপস মণ্ডলের ষড়যন্ত্র। আমার থেকে ৫০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল, আমি দিইনি। ঘুষ দিইনি বলে আমার এই হাল।'
জানা গিয়েছে, কুন্তল চাকরি দেওয়ার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে রিসিভ দিতেন। হাতে লেখা রিসিভ, সেই রিসিভ দেখিয়ে ইডি আধিকারিকরা কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু সদুত্তর দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে মার্চে। এই অবস্থায় 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে মহার্ঘ ভাতার আর্জি শুনলেন তৃণমূলের হেভি-ওয়েট সাংসদ মালা রায়।
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির জেনাডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন মালা। সরকার কবে তাঁদের মহার্ঘ ভাতা দেবে, তা সাংসদের কাছে জানতে চান প্রধান শিক্ষক সাক্ষীগোপাল মণ্ডল। তাঁকে মালা পাল্টা বলেন, "ব্যক্তিগত ভাবে ডিএ-র কথা ভাবছেন? আর সরকার বাচ্চাগুলোর কথা ভাবছে। কোনটা বড়, আপনিই তুলনা করুন।" এখানেই শেষ নয়। স্কুল ঘুরে দেখেন মালা নিজেই। দেখা যায়, একটি জল পরিশোধনের ফিল্টার অব্যবহৃত হয়ে পড়ে রয়েছে। তা নিয়ে পড়ুয়াদের সামনেই তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাটি ২ সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি নিমাই মাজি প্রধান শিক্ষকের উপরে সুর চড়ান। পরে সংশ্লিষ্ট অবর স্কুল অফিসে ফোন করে ফিল্টার ফেলে রাখার জন্য প্রধান শিক্ষককে শো-কজ করার দাবি তোলেন নিমাইমাঝি।
জামিনের জন্য হাজার অনুরোধ, আদালতে ধরনা দেওয়ার হুমকি দিয়েও তেমন লাভ হল না। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের বিচারক এমনই রায় দিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ৭ জন শিক্ষাকর্তারও জেল হেফাজত হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন আলিপুর আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর জামিনের জন্য সওয়াল করেন।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে আলিপুরদুয়ারের সুভাষিনী চা বাগান মাঠের প্রশাসনিক সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য 'মেধাশ্রী' প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ বার বার সামনে এসেছে। এবার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে আবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যেরা। বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহের পর বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মুকুন্দপুর গ্রামে বাড়ি পরিদর্শনের সময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
কেবলমাত্র বন্ধ্যাত্বজনিত কারণে স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করা যাবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের। স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু, আদালত ওই ব্যক্তির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্রবণতাকে মানসিক নির্যাতন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই দম্পতি কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা। তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক ৯ বছরের। ওই নারী পেশায় একজন স্কুলশিক্ষিকা।
এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সেই মামলায় বিচারপতি শম্পা দত্ত বলেন, "শুধুমাত্র বন্ধ্যাত্বের কারণে বিবাহবিচ্ছেদ করা যায় না। বাবা-মা হওয়ার জন্য অনেকগুলো বিকল্প রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একজন স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর পাশে থাকা উচিত। তাঁকে বুঝতে হবে। তবেই নারী মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেন।"
রাস্তা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। রাস্তার উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহ। রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত। আহতের সংখ্যা আরও বহু। প্রত্যেকেরই বুক ফাটা আর্তনাদ গায়ে কাঁটা ধরাচ্ছে। বেপরোয়া গতির কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা। একটি ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ১৬ টি গরুর। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০ টি গরু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আহত গবাদি পশুগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গবাদি পশু বোঝাই একটি ট্রাক ভার রাখতে না পেরে রাস্তায় উল্টে যায়। তাতে ১৪টির বেশি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালেশ্বর জেলার জলেশ্বরে।
ওই গাড়িতে থাকা ৭০টি গবাদি পশুর মধ্যে ১৬টিরও বেশি মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। রাস্তার ওপরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে দেহগুলি। তবে ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, জাতীয় স্ব-সেবক সমিতি, বজরং দলের সদস্যরা পৌঁছে ট্রাকের নীচে আটকে পড়া গবাদি পশুকে উদ্ধার করেন। ট্রাকটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ট্রাকের ভেতরে থাকা চালককেও নিরাপদে উদ্ধার করে থানায় আটক করা হয়। অভিযোগ উঠছে, চোরা পথে গরু পাচারের চেষ্টা চলছিল। তাই স্বাভাবিকের থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছিল ট্রাকটি। আর ভারও বেশি ছিল। টাল সামলাতে না পেরেই এই দুর্ঘটনা।