চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। সেখানে কি পাকিস্তানকে খেলতে দেখা যাবে না? পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যা পরিস্থিতি, তাতে পাকিস্তানকে বাদ দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের। এর পরেই তিনি বলেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে ফেলার কথা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে গাভাসকর বলেন, "বিসিসিআই সবসময় ভারত সরকারের কথা অনুযায়ী চলে। তাই আমি মনে করি না এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও এর কোনও বদল হবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আয়োজক। তাই এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হবে তার উপর। আমি তো কোনওভাবেই পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের অংশ হতে দেখছি না। আসলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেমন থাকে, তার উপর অনেককিছু নির্ভর করছে।"
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বিজেপি? কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য
তিনি মমতার পাশে বসে ছবিও তুললেন। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন একই ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল দিলীপ-মমতা-রিঙ্কুকে। আর তারপরই যেন এক্কেবারে ভূমিকম্প পদ্ম শিবিরের অন্দরে। তারপর থেকেই বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। বিগত কয়েকদিন ধরেই দিলীপের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ ধেয়ে আসছে দিলীপের উদ্দেশে। পাল্টা স্ট্রেট ব্যাটে খেলছেন দিলীপও। চাপানউতোরের আবহে এবার কি দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের পথে বিজেপি? সাংবাদিক বৈঠকেই কঠোর কথা শোনা গেল বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও। গত কয়েকদিনের কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে বলতে গিয়ে শমীক স্পষ্টই বললেন, 'যা হয়েছে অভিপ্রেত নয়'। তবে কী দিলীপ ঘোষের বিষয়ে এবার ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি? প্রশ্ন শুনেই সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বললেন, "উনি আমাদের দলের সফলতম সভাপতি ছিলেন। বিধায়ক ছিলেন, সাংসদ ছিলেন। তিনি কী করবেন, কী বক্তব্য রাখবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, বার্তা যদি দলের কিছু থাকে সে বিষয়ে দলের যাঁরা চিন্তা-ভাবনা করার তাঁরা করবেন। সেই দায়িত্ব আমার নয়।" ঠিক এর পরেই তাঁর সংযোজন, "দল পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখছে। যা করার দল তা সময়ে করবে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে বিজেপিতে ভবিষ্যতে না হয় তার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে।"
মুর্শিদাবাদ সফরে মুখ্যমন্ত্রী; আসছেন ৭০০ কোটি টাকার কাজের পরিকল্পনা নিয়ে
প্রায় ৭০০ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৬ তারিখ মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ৪৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর সঙ্গে প্রায় ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও প্রায় ৭৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসের অনুমোদন চেয়ে ইতিমধ্যে বিস্তারিত তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৫ মে রাতে ট্রেনে করে এসে বহরমপুরে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন বহরমপুর সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করে পরের দিন সকালে সড়ক পথে পৌঁছে যাবেন সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধুলিয়ান পুরসভা এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে এবং গ্রামে। সেখানে সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে তাদের হাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
পাকিস্তান থেকে সমস্ত আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার!
পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত হামলার জের। পাকিস্তান থেকে সমস্ত ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার। সরাসরি কিংবা ঘুরপথেও ভারতে প্রবেশ করবে না পাকিস্তানি পণ্য। এমন ঘোষণা দেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, "পাকিস্তানে তৈরি কোনও পণ্য সরাসরি বা ঘুরপথে ভারতে আমদানি করার ক্ষেত্রে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।" ফরেন ট্রেড পলিসি (২০২৩) বা বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে এই নিয়ে একটি শর্ত আরোপ করা আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জানান, দেশ তথা দেশবাসীর নিরাপত্তা এবং সরকারি নীতির স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও কিছু জরুরি প্রয়োজনে পাকিস্তান থেকে আমদানি করতে হয়, তাহলে ভারত সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে।
স্থানীয়দের মদতেই পহেলগাঁও হামলা; বিস্ফোরক ফারুক আবদুল্লা
পহেলগাঁও হামলার রেশ এখনো কাটেনি। ২২ এপ্রিল পাক জঙ্গিরা এত বড় নাশকতা ঘটাতে পেরেছিল স্থানীয় জঙ্গিদের মদতেই, মেনে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই হামলার নেপথ্যে হাত থাকতে পারে লস্কর প্রধান মাসুদ আজহারেরও! এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারুক আবদুল্লা বলেছেন, "স্থানীয়দের মদত ছাড়া এত বড় হামলা সম্ভব নয়। কোনও না কোনও ভাবে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত আছেন স্থানীয়রা।" কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "আমার মনে হয় না কারোর সাহায্য ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যদি কেউ সাহায্য না করে, তাহলে জঙ্গিরা কোথা থেকে এল? কীভাবে এল?" ফারুকের বক্তব্য, পাক জঙ্গিদের হ্যান্ডেলার সর্বত্র রয়েছে। এই হ্যান্ডেলরারাই আগে মুম্বই, উরি, রাজৌরিতে হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেছেন, "ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত আমরা বলতে পারছি না অভিযুক্ত কারা। তবে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যে কেউ যুক্ত থাকতে পারে।"
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
'সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে';পহেলগাঁও হামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া গীতিকার জাভেদ আখতারের
পহেলগাঁও হামলা নিয়ে এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রবীণ জনপ্রিয় গীতিকার জাভেদ আখতারের। গীতিকার জানান, সরকার কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা কাশ্মীরে ঘৃণ্য পরিকল্পনার মাধ্যমে সেই শান্তি নষ্ট করেছে।
জাভেদ আখতার এরপরেই বলেন, "এনাফ ইজ এনাফ। এবার সময় এসেছে প্রত্যুত্তর দেওয়ার।" ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও উপত্যকায় ছুটি কাটাতে আসা হাজারেরও বেশি পর্যটকের উপর চারজন সন্ত্রাসী অন্ধভাবে গুলি চালায়। এই কাপুরুষোচিত হামলায় ২৬ জন ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন।
এই ঘটনায়, গীতিকার আখতার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই হামলার জন্য তিনি পাকিস্তানকেই দায়ী করেছেন। গীতিকার বলেন, "বারবার সন্ত্রাসী হামলার কারণে দেশের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে। আমাদের দেশ জার্মানির সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে না। অথচ পাকিস্তান বলছে যে এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা কি ধরে নেওয়া ঠিক হবে যে সন্ত্রাসীরা এসেছিল, সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালালো। তারপর অন্য কোথাও চলে গেল। কেউ জানে না এই সন্ত্রাসীরা কোথায় গেছে। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই তা বোধগম্য নয়।"
বিকাশ ভট্টাচার্যদের হেনস্থার মামলায় কুণাল ঘোষকে নোটিস!
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সহ একাধিক আইনজীবীকে হেনস্থার অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কুণাল ঘোষ, রাজু দাস সহ পনেরো জনকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ আদালতের। রেজিস্ট্রার জেনারেল নির্দিষ্ট করবেন ওই নোটিস পৌঁছনোর বিষয়ে।
উল্লেখ্য, সুপার নিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কেন দ্রুত হচ্ছে না,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে যেহেতু মামলা চলছিল, হাইকোর্ট চত্বরেই তাঁর বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেন চাকরিপ্রার্থীরা বলে অভিযোগ। এরপর এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতিকে অভিযোগ জানানো মাত্রই তিনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলা গ্রহণ করেন। তিনজন বিচারপতির বেঞ্চও গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে রয়েছেন, বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়,বিচারপতি সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ।
প্রাথমিকভাবে বিশেষ বেঞ্চ মনে করছে এটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আদালতের অবমাননা ফৌজদারি অপরাধ। ভবিষ্যতে আর যাতে এই ঘটনা না হয় সুনিশ্চিত করবেন পুলিশ কমিশনার, নির্দেশ বেঞ্চের। কারা অভিযুক্ত অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবেন কমিশনার।