ফের নিয়োগ নিয়ে বড় চাপে রাজ্য সরকার। গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। আগামী সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে প্রায় ১৬ হাজারের বেশি গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সীমা ছিল ২০১৯ সালের ৪ মে পর্যন্ত। কিন্তু তারপরও বহু চাকরিপ্রার্থীকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে দাবি করে গত অগস্টে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এর পাশাপাশি গ্রুপ-সি নিয়োগের ক্ষেত্রে ও একই দূর্নীতি হয়েছে। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, "রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে তা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব থেকে বড় নির্দশন।
প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি কর্তৃপক্ষ, মধ্যশিক্ষাপর্ষদ এবং রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ৭ ফেব্রুয়ারি কমিটির রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত শেষ হয়নি জানিয়ে কমিটি আরও ৪ মাস সময় চায়। আদালত ৪ মাস নয়, ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার মাঝেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তাদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন সিঙ্গল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে কমিটির তরফে। জরুরি ভিত্তিতে সোমবার মামলার শুনানির আরজি জানায় কমিটি। তাদের আরজিকে মান্যতা দিয়ে সোমবার শুনানি হবে। এইদিন একটি প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দেবে অনুসন্ধান কমিটি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন