কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ব্যবস্থা নয়। কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে একথা জানানো হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের কোনও পদক্ষেপ না করার আশ্বাস মেনে নেন। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটেয় মামলার রুদ্ধদ্বার শুনানি হওয়ার কথা। সুতরাং ততক্ষণ স্বস্তিতে কার্তিক মহারাজ।
কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সহ বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। একজন মহিলা থানায় অভিযোগ করেন, ১২ বছর আগে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার জোরপূর্বক দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন কার্তিক মহারাজ। সেটার ভিত্তিতে তিনি থানায় এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশ নোটিশ দিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১ জুলাই হাজিরার জন্য তলব করেছিল কার্তিক মহারাজকে।
কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে মহিলা জানান, ২০১৩ সালে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ওই মহিলাকে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানা এলাকায় নিয়ে যান। আশ্রমের একটি প্রাইমারি স্কুলে তাঁকে শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করা হয়। স্কুলে থাকার জন্য মহিলাকে একটি ঘরও দেওয়া হয়। সেইখানেই দিনের পর দিন মহিলাকে কার্তিক মহারাজ শারীরিক অত্যাচার করেন বলে অভিযোগ। এমনকি ওই মহিলা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তাঁকে জোর করে গর্ভপাতও করানো হয়। বহরমপুরের একটি নার্সিংহোমে সেখানকার মালিক তথা চিকিৎসক এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও আরেক মহিলার উপস্থিতিতে তাঁর গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।
এই ঘটনায় স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে নবগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। নবগ্রাম থানা মঙ্গলবার কার্তিক মহারাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছিল। এরপরেই হাজিরা এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কার্তিক মহারাজ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন