নির্বাচন কমিশন বলেছিল চার আধিকারিক নিলম্বিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করতে হবে। এর পাশাপাশি এক ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’-এর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করতেও বলেছিল। তবে এখনই সেই পথে হাঁটছে না রাজ্য সরকার। আপাতত ওই পাঁচ জনের মধ্যে দু'জনকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। বাকিদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্তে কথা জানিয়ে দিল নবান্ন। প্রথমে ৫ অগস্ট রাজ্যকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। পরে ৮ অগস্ট ফের চিঠি পাঠায় তারা। দ্বিতীয় চিঠিতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল কমিশন। সেই মতো ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনকে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে মুখ্যসচিব জানান, আপাতত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের ‘সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক’ (এইআরও) সুদীপ্ত দাস এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ সুরজিৎ হালদারকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য আরও জানিয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে কমিশনকে জানিয়েছে রাজ্য।
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
শুভেন্দু'র সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো; চিরঞ্জিতের মন্তব্যে বিতর্ক
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তৃণমূলের তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। রবিবার বারাসতে এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন,"শুভেন্দু'র সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। ও কিন্তু আমায় খুব ভালোবাসে। আমি যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন লোক সেটা ও নিজেই আমাকে বলেছে। এটা হয়তো অনেকেই জানে না।" শাসকদলের বিধায়কের মুখ থেকে বিরোধী দলনেতার গুণগান রাজ্য রাজনীতিতে বিরল। কিন্তু হঠাৎ কেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক বিরোধী দলনেতার প্রশংসা করতে গেলেন, এই নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
উত্তরে সরছে বৃষ্টি-কাঁটা; জেনে নিন চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার পূর্বাভাস
শ্রাবণ প্রায় শেষের পথে। হিসেবমতো এবার বর্ষা বিদায় নেওয়ার পালা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার আবহাওয়ায় তেমন ইঙ্গিত। তবে এখনই বৃষ্টি থেকে রক্ষা নেই। উত্তরবঙ্গে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এছাড়া সপ্তাহের মধ্যভাগে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা। সপ্তাহান্তে কমতে পারে বৃষ্টি। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে চরমে। এমনই দুঃসংবাদ শোনাল আবহাওয়া দপ্তর। সবমিলিয়ে চলতি সপ্তাহে আবহাওয়া খেলা দেখাতে চলেছে বঙ্গ জুড়েই। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ১৩ই আগস্ট উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা। মৌসুমী অক্ষরেখা ফের উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এই অক্ষরেখা ফরিদকোট, লুধিয়ানা, নাজিমাবাদ, শাহজাহানপুর বাল্মিক নগর এবং জলপাইগুড়ির উপর দিয়ে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। উত্তর-পূর্ব আরব সাগর উত্তর-পূর্ব অসম এবং কর্নাটকে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে উত্তরবঙ্গে চলতি সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। সোমবার থেকেই অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তরবঙ্গে। অতি ভারী বৃষ্টি হবে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। ভারী বৃষ্টি দার্জিলিং, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে। মঙ্গলবার অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই জেলাগুলিতে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতে।
রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
এ বার বই খুলে পরীক্ষা দিতে পারবে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা!
এ বার বই খুলে পরীক্ষা দিতে পারবে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। গত জুন মাসে সিবিএসই-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক বোর্ডের সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত কেবল মাত্র নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই নিয়ম চালু হচ্ছে। পরে অন্যান্য শ্রেণির জন্যও বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার এই রীতি চালু হতে পারে। আগামী ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে চলা এই পরীক্ষাপদ্ধতির নাম ওপেন-বুক অ্যাসেসমেন্ট (ওবিএ)। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন (এনসিএফএসই) ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পরীক্ষাপদ্ধতি আনার কথা ভেবেছে সিবিএসই। তাদের বক্তব্য, এতে পড়ুয়াদের মধ্যে না বুঝে হুবহু মুখস্ত করার ঝোঁক কমবে, পরিবর্তে তাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়বে।
নবান্ন অভিযান নিয়ে শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের!
নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের খোঁচা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শাসকদলের তরফে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন,"গতকালের নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু অধিকারী একা পড়ে গেলেন কেন?" কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষেদের কেন নবান্ন অভিযানে দেখা গেল না? তাঁর কথায়, "বিজেপির অন্দরে কান পাতলে অনেক কথাই শোনা যাচ্ছে।" কুণাল ঘোষ বলেন, "শুভেন্দুবাবুর লোকেরাই তো কাল নবান্ন অভিযান করেছেন। সুকান্তবাবু তো পুরো কাল ডোবালেন। কেন কাল শুভেন্দুবাবু একা পড়ে গেলেন জানেন? বিজেপি অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অনেক কথা।" যদিও কুণালের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী একটি সাংবিধানিক দায়িত্বে রয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। তিনি কেবল বিজেপি নেতা। বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব রাজ্যের যে কোনও প্রতিবাদ, ক্ষোভ, অসন্তোষকে স্পর্শ করা। তাই তিনি সেখানে গিয়েছেন। বিজেপির নেতা কর্মী, বিধায়করা গিয়েছেন।"
বৈধ নোটিস ছাড়া কারও নাম বাদ যাবে না; বিহার এসআইআর নিয়ে আশ্বাস কমিশনের
অবৈধ ভোটার বাছতে গিয়ে বতর্কের শেষ নেই। বিহারের ভোটের তালিকা থেকে বাদ ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম! কিন্তু কেন বাদ দেওয়া হল এত ভোটারের নাম, কারাই বা বাদ পড়লেন? সুপ্রিম কোর্টে এ প্রশ্নের জবাব দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত মামলায় কমিশন হলফনামা দিয়ে জানাল, ভোটার তালিকা থেকে কাদের নাম বাদ পড়েছে, সেটার আলাদা করে তালিকা প্রকাশ করার কোনও নিয়ম নেই। কমিশনের দাবি, কেন নাম বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা জানাতেও বাধ্য নয় তারা। তবে নোটিস না দিয়ে কোনও ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হবে না। বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে নতুন করে মামলা করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। মামলাকারীদের দাবি, নির্বাচন কমিশন বলছে বিহারে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে, অথচ তাদের কোনও বিবরণ নেই। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলিও ওই বাদ পড়া ভোটারের তালিকা পায়নি। মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের প্রশ্ন, বলা হচ্ছে, ৩২ লক্ষ ভোটার স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। এ বিষয়ে অন্য কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। এই ৬৫ লক্ষ কারা, কারা স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন, কারা মৃত, এই সব তথ্য প্রকাশ করা উচিত।”ওই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি উজ্জ্বল ভূইঞা এবং বিচারপতি এনকে সিংয়ের বেঞ্চ বলে, নিয়ম অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার কথা কমিশনের। জবাবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেটা তারা আদালতে দেখাতেও পারবে। প্রতিটি বুথে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বাদ পড়াদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। যাতে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে সব বৈধ ভোটারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সবরকম চেষ্টা করে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু যারা বাদ পড়লেন তাদের তালিকা প্রকাশ করা বা আলাদা করার কোনও নিয়ম নেই। যদিও কমিশনের দাবি, বিনা নোটিসে কোনও ভোটারের নামই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। প্রত্যেক ভোটারকে নিজের পক্ষ রাখার সুযোগ দেওয়া হবে। এবং তার নাম বাদ দিলে নির্দিষ্ট কারণও তাঁকেই জানানো হবে।
আরজি কর; সব দোষী ধরা পড়েনি; বিস্ফোরক চিরঞ্জিৎ
আরজি কর-কাণ্ডে সব দোষী ধরা পড়েনি। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। ঘটনাচক্রে, বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ যে মন্তব্য করেছেন, তা শাসকদলের পক্ষে বেশ অস্বস্তির কারণ হওয়ার কথা বলেই অনেকে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। তাঁদের মত, তৃণমূল বরাবরই এই মর্মে প্রচার করে এসেছে, কলকাতা পুলিশ যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল, ধর্ষণ-খুনের মামলায় সিবিআইও তাঁর বিরুদ্ধেই চার্জশিট দিয়েছে। অবশেষে সঞ্জয়ই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নিম্ন আদালতে। অর্থাৎ, কলকাতা পুলিশ যে পথে এগিয়েছিল, সিবিআই-ও সে পথেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে মনে করে তৃণমূল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চিরঞ্জিতের মত দলের মতের সঙ্গে মেলে না। বিধায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "উনি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। বিশিষ্ট অভিনেতা। এই মনে হওয়ার পিছনে দুটো কারণ থাকতে পারে। এক, ওঁর কাছে তথ্য আছে। দুই, উনি কারও মুখ থেকে শুনে বলছেন। যা-ই হয়ে থাকুক, ওঁর উচিত সিবিআইয়ের অফিসে গিয়ে এটা বলে আসা। বিবৃতি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও মানে নেই।"বারাসতে একটি রক্তদান শিবিরে গিয়ে আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন চিরঞ্জিৎ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘" আপনার কি মনে হয়, দোষীরা ধরা পড়েনি?" জবাবে বিধায়ক বলেন, "না,মনে হয় না তো। আমারও মনে হয় না। সবারই মনে হয় না। সিবিআই চোখ বন্ধ করে আছে। কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে?"