সৌরভের পরামর্শ কানেই নিলেন না হার্দিক!

 

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া সোমবার BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ কানেই তুললেন ন। আসন্ন রনজি ট্রফি না খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন হার্দিক। তিনি আপাতত ২০২২ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ মরশুম শুরুর আগে সাদা বলের ক্রিকেটেই বেশি করে ফোকাস করতে চান বলে জন গিয়েছে। যাতে আগামীদিনে ভারতীয় ক্রিকেট দলে তিনি আবারও প্রবেশ করতে পারেন।প্রথম পর্বের রনজি ট্রফির জন্য বরোদা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইতিমধেই ২০ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। এই দলকে নেতৃত্ব দেবেন কেদার দেওধর। তবে এই তালিকায় হার্দিকের নাম দেখতে পাওয়া যায়নি।

২৮ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারকে অনেকদিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলে দেখতে পাওয়া যায়নি। কারণ তাঁর চোট সমস্যা। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আয়োজিত টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকেই হার্দিককে আর টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে দেখতে পাওয়া যায়নি। 

Read More

পার্থ দলের সকলকে চেনেন বলে মনে হয় না'; বিস্ফোরক মদন মিত্র

ফের বিস্ফোরক বিধায়ক মদন মিত্র। 'কিছু নাটের গুরু তৃণমূলকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলে এখন বিজেপি-কংগ্রেসের কালচার চলছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদৌ দলের সবাইকে চেনেন না।'

পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শাসকদলের মধ্যে বেশকিছু অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে।  অসন্তুষ্ট মদন মিত্রর মতো দলেরই একাংশ নেতা। সেই অসন্তোষ আরও স্পষ্ট হল সোমবার কামারহাটির বিধায়কের কথায়। এদিন তিনি বলেন, " শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একবার বলে সবাই নেমে পড়ো। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ডায়মন্ড হারবার থেকে বারাকপুর পর্যন্ত জিপে করে একবার ঘোরেন। তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। যতদিন অভিষেক-মমতা দলকে নিয়ন্ত্রক করছিল সবাই এক বাক্যে মেনে নিচ্ছিল। কিন্তু নাটেরগুরুরা খালি খুঁজছে কীভাবে তৃণমূলকে নষ্ট করা যায়। জানি না বিজেপি-কংগ্রেসের কালচাল কীভাবে তৃণমূলে ঢুকে পড়েল? কিছু সুযোগ সন্ধানি দলকে ভাঙার চেষ্টা করছে। এবারে প্রার্থী বাছাই একদম ঠিক হয়নি। সুব্রত বক্সি দলটা করে কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় আদৌ দলের সবাইকে চেনেন বলে মনে হয় না। দল ঠিক করতে চাইলে অভিষেককে মাঠে নামান।" 

Read More

SSC গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা; আরও দু-মাস সময় দিল আদালত

 

এ রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক বা অনিয়মের অভিযোগ বার বার সামনে এসেছে। স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগের দাবিতে আদালতে মামলা করতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। রাজ্যের স্কুলগুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী (SSC Group D) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত তদন্ত চালাচ্ছে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি।

সেই তদন্ত শেষ করতে সোমবার আরও সময় চাইল কমিটি। দু-মাসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত শেষ করে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এদিন তদন্ত শেষ করতে আদালতের কাছে আরও অন্তত চার মাস সময় চেয়েছে কমিটি। অনুসন্ধান কমিটির তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, মামলায় অনেককে ডেকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করতে হচ্ছে। কোভিডের কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তাই বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য আরও চার মাস সময় প্রয়োজন। 

তবে অতিরিক্ত ওই সময় দিতে রাজি হয়নি বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, অতিরিক্ত আরও চার মাস সময় দেওয়া সম্ভব নয়। দু-মাস সময় দেওয়া যেতে পারে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে প্রাথমিক তদন্তভারের দায়িত্ব দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই ঘটনার তদন্তের জন্য প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। 

Read More

ফের বিতর্ক; কম নম্বর প্রাপকদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ

 

ফের নিয়োগ ঘিরে গুরুতর অভিযোগ। ২০১৬ সালের স্কুলশিক্ষক (এসএলএসটি) নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সূত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেটি ইন্টারভিউ-এ প্রাপ্ত নম্বরভিত্তিক তালিকা, না মেরিট লিস্ট?

নাকি সেটি প্যানেল? মোট ৩২ জনের তোলা এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন হলফনামা মারফত জবাব দেবে বলে বৃহস্পতিবার আদালতে জানিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ মার্চ।  

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়। সেখানে ১১ দফা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা শ্রীমন্ত মাইতি সহ অন্যরা। তাঁদের আইনজীবী আশিস চৌধূরি আদালতকে জানান, যে পরিমাণ শূন্যপদ দেখানো হয়েছে, তা অস্বাভাবিক। প্রকৃত শূন্যপদ কম দেখিয়ে ঘুরপথে নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, কম নম্বর প্রাপকদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রার্থীপদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। চতুর্থত, প্রার্থীদের ডাকার সময় প্রতি পদ পিছু ১.৪ জনকে ডাকার নিয়ম মানা হয়নি। পঞ্চমত, পরীক্ষা না দিয়েও তালিকায় নাম উঠেছে, এমন উদাহরণও রয়েছে। এছাড়া আরও একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন শ্রীমন্তবাবুদের আইনজীবী। এর পাশাপাশি মামলাকারীদের বক্তব্য, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি বিধির ১২ নম্বর ধারার ছয়, সাত ও আট নম্বর উপধারা সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি।  

Read More

আইপ্যাক ও তৃণমূলের সম্পর্কের কি শেষের শুরু?

 

এবারের পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের খবর এসেছে। পরামর্শদাতার ভুল সিদ্ধান্ত কি দলের অন্দরে এমন অরাজকতা? এমনও প্রশ্ন তুলেছেন দলেরই কেউ কে। সূত্রের খবর, এবার তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে প্রশান্ত কিশোর। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএমএসে কথাও হয়েছে পিকের (PK)।

তৃণমূল নেত্রী আইপ্যাকের ভূমিকা খুব একটা সন্তুষ্ট নন বলেও দাবি সূত্রের। অপর এক সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আইপ্যাক বাংলায় কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। আপাতত বঙ্গ রাজনীতির অলি গলিতে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন, তবে কি এবার বাংলা থেকে আইপ্যাকের সময় শেষ হতে চলেছে? সূত্রের খবর, ১০৭ টি পৌরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে আইপ্যাকের উপর ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। অন্যদিকে আবার আইপ্যাক ক্ষুব্ধ কিভাবে নির্দিষ্ট নীতি ঘোষণা করেও সেই নীতির বাইরে গিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে। গত দু-তিন দিন ধরে প্রার্থীতালিকা ঘিরে যে বিক্ষোভ হচ্ছে। আর যেভাবে বারবার আইপ্যাকের দিকে আঙুল উঠছে, তাতে তাদের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে বলে ওই সংস্থা মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ও আইপ্যাকের মধ্যে সম্পর্ক কি ছিন্ন হবে, আপাতত এই প্রশ্নই জোরালো হয়ে উঠছে। 

Read More

বেকারের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে প্রায় ১৪ কোটি!

 

আগেই কেন্দ্রীয় বাজেটকে দিশাহীন ও অন্তঃসারশূন্য বলে আগেই ভর্ৎসনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। গতকাল, রবিবার ফের দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।

এমন সময় প্রান্তিক মানুষের হাতে নগদ জোগান নিশ্চিত করে এমন প্রকল্পগুলির ও খাদ্যের জন্য ভর্তুকি কমানোয় কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছেন অমিতবাবু। 

বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে ফের একবার খোঁচা দিয়ে রবিবার টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্ট। তিনি লেখেন এক বছরে ভারতে গরিব মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সংখ্যাটি প্রায় ১৩ কোটি ৪০ লক্ষ। অথচ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি কমিয়েছে ২৮ শতাংশ। কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?বাজেট প্রস্তাবে ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ২৫ শতাংশ। বরাদ্দ কমানো হয়েছে সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও। বাজেটকে মরীচিকা আখ্যা দিয়ে আমিত মিত্র লেখেন, এতে মধ্যবিত্তের জন্য কিছুই নেই। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নেই এই বাজেটে। 

Read More

সবাই কেন স্কুলে; কড়া মন্তব্য বিচারপতির

স্কুল খোলা নিয়ে বিতর্ক নয়— সরাসরি না বলেও ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলা আদালত শুধু খারিজই করেনি, মামলাকারীকে পাল্টা ভর্ৎসনাও করেছে।

ওই মামলাকারী পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর সঙ্গে অনলাইন ক্লাস জারি রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। আদালত জানতে চেয়েছে, পড়ুয়াদের নিয়ে মামলাকারীর চিন্তা কি তাদের অভিভাবকের থেকেও বেশি? সোমবার হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে ওই মামলা। শুনানি চলাকালীন বেঞ্চ কার্যত মামলাকারীর আইনজীবীকে তুলোধনা করেছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি প্রকাশ্যেই মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছে, মামলাকারীর নিজের সন্তান আছে কি না এবং তারা স্কুলে যায় কি না! এদিন আদালত আদালত এর পর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, "আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সন্তান আছে? তারা স্কুলে যায় না?" এমনকি মলাকারীর সমর্থনে অন্য কোনও স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবকের বক্তব্য নেই কেন, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত। 

Read More