একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখরা। সূত্রের খবর, দুপুর ১টা নাগাদ ভবানীপুরে গীতবিতান ভবনে অনুব্রত পৌঁছাতেই তাঁর সঙ্গে কাজলকে নিয়ে বেরিয়ে যান ফিরহাদ হাকিম। সোজা চলে যান রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সির দফতরে। সেখানেই আলাদা করে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন কাজল। ছিলেন সুব্রত বক্সি নিজেও। ছিলেন অরূপ বিশ্বাসও। সাম্প্রতিককালে বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কম চাপানউতোর হয়নি। পুলিশকে কদর্য ভাষায় হুমকির অভিযোগ থেকে কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, রাজনীতির আঙিনায় জলঘোলাও কম হয়নি। এমন আবহে কেষ্ট-কাজলের সঙ্গে আলাদা বৈঠকে কলকাতার হেভিওয়েটরা কী বার্তা দেন সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের দাবি, বৈঠকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বীরভূমের দুই নেতাকেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তে ঘামে তৈরি এই পার্টি। কারও ব্যক্তিগত ইগোর লড়াই লড়তে গিয়ে দলের ক্ষতি বরদাস্ত করা হবে না দল। কাজল-অনুব্রতকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের নেতারা। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, অনুব্রতকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুব্রত বক্সি। কুকথা কাণ্ড নিয়ে দেওয়া হয়েছে লাস্ট ওয়ারর্নিং। আর এমন হলে বরদাস্ত করবে না দল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সে কথাও।
শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫
রাজ্যে ফের শিক্ষক নিয়োগের নোটিস!
শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ভাল খবর। আবারও রাজ্যে শুরু পারহতে চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার রাজ্যের সরকারি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের তোড়জোড় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের। রাজ্যের ১৪৯ টি সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশন কে চিঠি লিখল স্কুল শিক্ষা দফতর।
হিন্দু, হেয়ারের মত সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক – শিক্ষিকার জন্য শূন্য পদ পড়ে রয়েছে ১২০০ এরও বেশি। ওবিসি সংরক্ষণ বিধি নির্দিষ্ট হওয়ার পরই সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে বলল স্কুল শিক্ষা দফতর পিএসসি কে। শিক্ষক- শিক্ষিকা নিয়োগের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক – প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগের জন্য পিএসসিকে প্রস্তুতি নিতে বলল স্কুল শিক্ষা দফতর। ৪১ টি সরকারি স্কুলে ৩৮ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও দ্রুত জারি করবে পিএসসি বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
কবে থেকে বৃষ্টি শুরু? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কিছুদিন আগেই প্রবেশ করেছে। এবার যে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই বর্ষা এসে পড়েছে, সে খবর সবারই জানা। তবে তারপরও গরম কমছে না। প্রতিদিন সকালে চড়া রোদে প্রাণ ওষ্ঠাগত। অবশেষে সুখবর দিল হাওয়া অফিস। শেষ পর্যন্ত ঘুম ভাঙছে বর্ষার। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঝিমিয়ে থাকা বর্ষা এবার অবশেষে সক্রিয় হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে চারদিনের মধ্যে বর্ষা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর বৃষ্টি শুরু হলেই মিলবে স্বস্তি। তাপমাত্রা অনেকটা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার আশা রয়েছে।
এদিকে, শনিবার ও রবিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের জেলাগুলিতে।
শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫
এসএসসি গ্রুপ সি-গ্রুপ ডি ভাতা নিয়ে আরও একজোড়া মামলা!
গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি ভাতা সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আরও একজোড়া মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান আপাতত স্থগিত রাখল আদালত। শিশির বিশ্বাস ও সোমনাথ মণ্ডলের মামলার রায়দান শীঘ্রই, জানালেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। জনগণের করের টাকায় ভাতা সিদ্ধান্ত। যে কোনও নাগরিক ভাতা সিদ্ধান্তে অখুশি হলে আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করতে পারে। মামলাকারীদের আইনজীবীর কথায়, "এসএসসি সুপ্রিম কোর্ট জাজমেন্ট বিরোধী কোনও পদক্ষেপ আইনসভা নিতে পারে না। ২০২৩ NHPC মামলার রায়ে তা সুনির্দিষ্ট করা আছে।" এর আগেও একজোড়া মামলা শুনানি শেষ করে রায়দান স্থগিত রেখেছে একই আদালত। ওই মামলায় বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন তোলেন, 'বাড়িতে বসে বসে কীভাবে ভাতা? ভাতার প্রতিদানে রাজ্যকে কী দেবে প্রাপকরা?' গ্রুপ সি চাকরিহারাদের ২৫০০০ ও গ্রপ ডি চাকরিহারাদের ২০০০০ টাকা ভাতার সিদ্ধান্ত রাজ্য শ্রম দফতরের। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয় হাইকোর্টে।
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
এসএসসি তদন্তে সিবিআই পেল নয়া অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপ!
এসএসসির নিয়োগ মামলার তদন্তে এ বার নতুন একটি অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপ সামনে আনল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে মামলার শুনানির সময় এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপটিতে পাঁচ জনের কণ্ঠস্বর মিলেছে। সেই সূত্র ধরেই পাঁচ জনের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে সিবিআই।
এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র একটি অডিয়ো ক্লিপ তদন্তকারীদের হাতে এসেছিল। সেটি ছিল প্রাথমিক নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত। এ বার এসএসসি নিয়োগ তদন্তে একটি অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তবে এই অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপটি তাঁরা কোথা থেকে পেয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আনতে নারাজ সিবিআই আধিকারিকরা।
ক্লিপটিতে এসএসসি মামলার সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনের অডিয়ো পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। সেই সূত্রে ধরেই সুবীরেশ ভট্টাচার্য, পর্ণা বোস, নিলাদ্রী দাস, সমরজিৎ আচার্য এবং পঙ্কজ বনসল— এই পাঁচ জনের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালেত আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।
মামলার শুনানিতে সুবীরেশের আইনজীবী ওই অডিয়ো-ভিডিয়ো ক্লিপের গ্রহণযোগ্যতা এবং উৎস নিয়ে সওয়াল করেন। কিন্তু উৎস প্রকাশ করতে নারাজ সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, "এখন আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত করছি। কিন্তু অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী এই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন।" তখন বিচারক জানান, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী তদন্ত নয়, অডিয়ো-ভিডিয়ো নিয়ে বলছেন। সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের উদ্দেশে বিচারক বলেন, সবাইকে না জানালেও আদালতকে 'কনফেডেনশিয়াল নোট' দিয়ে ওই অডিয়ো-ভিডিয়োর উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।
কাল থেকে ফের স্কুল ছুটির নির্দেশ!
গরমের ছুটি কাটিয়ে খুলেছিল স্কুলগুলি। স্কুলে শুরু হয়েছিল পঠন-পাঠন। তবে ফের গরম বাড়তে শুরু করে। যার জেরে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দুপুরের দিকে লু-বইছে। বীরভূম-বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার অবস্থা তো বলার মতো নয়। তীব্র গরমের জেরে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবরও প্রকাশ্যে আসছে। সেই কারণে রাজ্যের সব সরকারি স্কুল গুলিতে ফের একবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই কারণে আগামী ১৩ই জুন ও ১৪ই জুন রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা স্থগিত রাখা হবে। তবে পাহাড়ি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর নয়।
বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়মে বড় রদবদল! পড়ুন...
এই বছরই শেষ বার্ষিক প্রক্রিয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হল। এর পর থেকে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে ছাত্র-ছাত্রীরা। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমেস্টার। তার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের। চলতি বছরেই তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন। চলতি সেমেস্টার থেকেই মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল আনছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ওএমআর এর কার্বন কপি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়ে চলে যেতে পারবেন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় সেমিস্টার থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ওএমআর এ পরীক্ষা দেবেন।
পাশাপাশি, ফলপ্রকাশের আগেই কোন বিষয় কত নম্বর পাচ্ছেন, সেই সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা পাবেন পড়ুয়ারা। প্রত্যেক পড়ুয়ার ওএমআর ওয়েবসাইটে আপলোড করারও পরিকল্পনা সংসদের। বিষয়ভিত্তিক প্রত্যেক পড়ুয়ার ওএমআর ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরের সেমেস্টার থেকেই এই পরিকল্পনা কার্যকরী করতে চলেছে সংসদ। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বললেন, "আমাদের আলোচনা এখন চূড়ান্ত স্তরে। খুব শীঘ্রই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেব।"
স্মার্ট মিটার নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের!
স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট মিটার বাধ্যতামূলক বলে নোটিফিকেশন জারি করে। সেই নোটিফিকেশনের প্রেক্ষিতে কাজ শুরু হয় রাজ্যে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দেখা যায় এতে। এর জেরেই রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, আর নয় স্মার্ট মিটার। এবার সেগুলো ব্যবহার হবে সাধারণ মিটারের মতোই। তিন মাস পরেই মেটানো যাবে বিল। প্রিপেড নয় পোস্ট পেইড ব্যবস্থা চালু। বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।
বিভিন্ন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, স্মার্ট মিটার নিয়ে কেন্দ্রের তরফে আগেই একটা নোটিফিকেশন জারি করেছিল। সেই মোতাবেক বিভিন্ন রাজ্যে কাজ শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫-৬ হাজার বাড়িতে এই স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে এই নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসতে শুরু করে। এবার রাজ্য জানিয়ে দেয় তারা স্মার্ট মিটার বসাবে না ডোমেস্টিক এরিয়ায়।
দক্ষিণবঙ্গে আজ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা!
ভ্যাপসা গরমে জেরবার গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বর্ষা প্রবেশ করলেও গরম থেকে ছাড় নেই উত্তরবঙ্গে। পরিস্থিতি এতটাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর যে,পাহাড়েও ফ্যান এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালাতে হচ্ছে।
মৌসুমি বায়ু আচমকা দুর্বল হয়ে পড়ায় সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতল কার্যত পুড়ছে । দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের কোনও ইঙ্গিত এখনও দিতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে ভ্রু কুচকানো পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলায়। গরম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ ছুটছে দার্জিলিং এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু সেখানকার তাপমাত্রাও চোখ কপালে তোলার মত।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হলুদ সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস।
মহুয়ার আপত্তিতে সায়;কল্যাণকে কালীগঞ্জে প্রচারে যেতে মানা করলেন মমতা
দু-জনেই তৃণমূলের হেভ-ওয়েট সাংসদ। কিন্তু, তাঁদের বিবাদ নানা সময় সামনে এসেছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্রের সেই দ্বন্দ্ব যে অব্যাহত, তা ফের সামনে এল নদিয়া কালীগঞ্জের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের দুই সাংসদের 'ঝগড়া' এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচারে যেতে পারছেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, মহুয়া মৈত্র চান না কল্যাণ প্রচারে আসুন। মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিষয়টি আসে।
মঙ্গলবার বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় নিজের ঘরে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা চলছিল নানা বিষয়ে। ঘটনাক্রমে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে উপস্থিত ছিলেন। নানা কথার মাঝখানে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ আসে। সূত্রের দাবি, সেইসময় কল্যাণ বলেন, তিনি কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে প্রচারে যেতে চান। কিন্তু মহুয়ার 'ভেটো'-তে যেতে পারছেন না তিনি।
সূত্রের দাবি, কল্যাণের বক্তব্য শোনার পর নাকি মুখ্যমন্ত্রী আইপ্যাকে ফোন করেন। এবং ফোনে যাবতীয় আপডেট নেন। এরপরই কল্যাণকে প্রচারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানান। প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জ বিধানসভা যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। আবার তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও তিনি।
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫
তৃণমূলে বড় পদ পেলেন পীরজাদা কাশেম!
ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে কি নতুন তাস পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকী? এই নিয়ে আগে থেকে জল্পনা চলছিল! সেই জল্পনায় কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক করা হল। এদিন ঘাসফুল শিবির প্রেস বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। এর পাশাপাশি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা শঙ্কর মালাকারকে দলের রাজ্য সংগঠনের সহসভাপতি ঘোষণা করা হল। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী এখন ভাঙড়ের বিধায়ক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকী ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) তৈরি করেন। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ISF-র টিকিটে একুশের নির্বাচনে ভাঙড়ে লড়েছিলেন নওশাদ। এরপর বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে ফুরফুরা শরিফের দূরত্ব বাড়ে।
গত মার্চে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ছিলেন না ফুরফুরার দুই পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ও নওশাদ সিদ্দিকী। অনেক পীরজাদাকেই সেদিন দেখা যায়নি। তবে মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল কাশেমকে। পরদিন কলকাতার পার্ক সার্কাসে ইফতারে মমতার পাশে ফের তাঁকে দেখা যায়। তারপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তৃণমূলের রসায়নে কি এবার নেতৃত্ব দেবেন কাশেম সিদ্দিকী?
করোনা প্রসঙ্গে নবান্ন থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর!
এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলায় দ্বিতীয় মৃত্যু। রাজ্যে এই নিয়ে প্রাণ গেল মোট দু-জন করোনা আক্রান্তের। জানা গিয়েছে, কোভিড পজিটিভ হয়ে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হয়েছিলেন ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি। কিন্তু দিন কতকের মধ্যে প্রাণ গেল তার। যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, করোনার কারণে মৃত্যু হয়নি ওই ব্যক্তির। মৃতের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল নথি বিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলেও, তার মৃত্যুর কারণ করোনা নয়। বরং তার শরীরে থাকা আরও অন্যান্য অসুখের কারণেই চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেননি তিনি। ফলত প্রাণ গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৪টি। যার জেরে বাংলা জুড়ে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৪৭। অন্যদিকে, গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৫৮ জন। মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৬ হাজার ৪৯১ জন।
আজ, সোমবার বাংলায় করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি একেবারেই শঙ্কাজনক নয় বলেই বার্তা দেন তিনি। এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক অবস্থাই বজায় থাকবে। প্যানডেমিক আর হবে না। তবে আগাম সতর্ক থাকাও ভাল।' তাঁর সংযোজন, 'সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে চিকিৎসা করান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি।'
গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিচারপতি?
চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া সংক্রান্ত রাজ্যের সিদ্ধান্ত এবার প্রশ্নের মুখে। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, এত তাড়াহুড়ো কিসের? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও রকম আলোচনা বা স্ক্রুটিনি ছাড়াই কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, রাজ্যের কাছে তা জানতে চান। মৌখিক ভাবে এটি বন্ধ রাখার কথাও বলেন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার জানানোর কথা বললে বিচারপতি সিংহ জানান। ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামেন গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মীরাও। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে রাজ্য সরকার। ওই বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ একাধিক সরকারি আমলা উপস্থিত ছিলেন। টেলিফোন মারফত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় চাকরিহারাদের। তখনই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আপাতত গ্রুপ সি কর্মীদের রাজ্য সরকার প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেবে। আদালতে চাকরি বাতিলের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ভাতা দেবে রাজ্য। পরে সরকারের তরফে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রথম মাসের টাকা পেয়ে গিয়েছেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা।
SSC-র ৪৪০০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ আদালতের!
SSC নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এখনই হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। ১৬ জুন থেকে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু বাধাহীন। প্রায় ৪৪০০০ শূন্যপদে শিক্ষক পদে বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৩০ মে রাতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি। জরুরি হস্তক্ষেপে'র আবেদন ফেরাল হাইকোর্টের একক বেঞ্চ।।বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, "নিয়োগ প্রক্রিয়া আগে শুরু হোক। কিছু অসুবিধা ধরা পড়লে হাইকোর্টে আসুন। জুলাই মাসে মামলা শুনানিতে আসুক।" মামলাকারীদের আইনজীবী এদিনের শুনানিতে বলেন, "২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে করতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পরিপন্থী এই বিজ্ঞপ্তি। গরমের ছুটির বিশেষ বেঞ্চ মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। শুনানি চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।"
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২০১৬ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ বাতিল হয়। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। লুবানা পারভিন, মৌসুমি ঘোষ দাসের মতো চাকরিপ্রার্থীরা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। ২০১৬ সালের ঘোষিত শূন্যপদের বেশি শূন্যপদে নিয়োগ কেন? ২০১৬ রুল পরিবর্তীত করে পরীক্ষা কেন? প্রশ্ন মামলাকারীদের। যদিও তাতে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট।
শনিবার, ৭ জুন, ২০২৫
দক্ষিণবঙ্গে বিলম্বিত বর্ষা; আরও বাড়বে গরম
মেঘলা আকাশ। তারপরেই হঠাৎ করে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। গুমোট আবহাওয়া ঝোড়ো বৃষ্টিতে ঠান্ডা। শুক্রবার রাতে হঠাৎ বৃষ্টির হাত ধরে গুমোট গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি। আলিপুর আবহাত্তয়া দফতর বলছে এই বৃষ্টি বর্ষার আগমনী বা প্রাক মৌসুম বৃষ্টি নয়। এই বৃষ্টি স্থানীয়ভাবে উত্তপ্ত হয়ে আবহের কারণে সৃষ্ট। যে মৌসুমী বায়ু রাজ্যে বৃষ্টির বাহক হিসেবে কাজ করে, সে এখন থমকে রয়েছে উত্তরবঙ্গে। শুধু এই রাজ্যেই নয় মৌসুমী বায়ু গোটা দেশেই থমকে। ফলে আশা জাগিয়ে শুরু করেও বর্ষা সারাদেশের সঙ্গে বঙ্গেও প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জানিয়েছে নির্ধারিত সময়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে না বর্ষা। আবহাওয়া দফতরের সূচি অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে ১০ জুন। ১২ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার অনুকূল পরিস্থিতি নেই। বরং, বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম এই সপ্তাহে। ফলে আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া বেশ কয়েকটি জেলাতে প্রভাব বিস্তার করবে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমতে শুরু করেছে। শুষ্ক আবহাওয়া সঙ্গে গরম ও অস্বস্তি থাকবে। আজ শনিবার থেকে শুষ্ক ও গরম হাওয়া বেশি থাকবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূমে। অন্যান্য জেলাতেও গরম ও অস্বস্তি থাকবে।
বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
অবশেষে হাজিরা অনুব্রত মণ্ডলের!
টানা পাঁচ দিনের বেড রেস্ট শেষ! অবশেষে হাজিরা দিলেন বীরভূমের তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের আইসি-কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। একাধিকবার হাজিরার নোটিস দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টের পর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিলেন তিনি। হুমকি, যৌন হেনস্থার মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর হয়েছে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। ফলে তাঁর গ্রেফতারি নিয়েও জল্পনা রয়েছে। আইসি লিটন দাসকে যেভাবে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেই অডিয়ো সামনে এসেছে আগেই। সেই কথোপকথন প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের তরফে তাঁকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
এরপর পুলিশ তাঁকে হাজিরার নোটিস দিলেও বারবার হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। প্রশ্ন ওঠে, অনুব্রত কি তাঁর সেই পুরনো দাপট দেখিয়েই হাজিরা দিচ্ছেন না? অবশেষে বেড রেস্ট শেষ হওয়ার পর থানায় পৌঁছলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শান্তিনিকেতন থানা চত্বর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়।এর পাশাপাশি নামানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের র্যাফ। একটি সাধারণ গাড়িতে চেপে বিকেল সাড়ে ৩টের কিছু পর অনুব্রত সোজা ঢুকে যান থানায়। পৌঁছে যান এসডিপিও অফিসে।
পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের!
আচমকা বিয়ে করে খবরের শিরোনামে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিদেশে একেবারেই চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। পাত্র পিনাকী মিশ্র। এখন প্রশ্ন, কে এই পিনাকী মিশ্র? ৫১ বছরের মহুয়ার সঙ্গে ৬৫ বছরের পিনাকীর বয়সের ব্যবধান ১৪ বছর। মহুয়া বর্তমানে আদ্যপান্ত রাজনীতিক। পিনাকীও তাই। তিনি পেশায় আইনজীবী।
মহুয়া ও পিনাকী দু'জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। গত বছর ইউরোপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন মহুয়া ও পিনাকী। সেই সময় থেকেই মহুয়া ও পিনাকীর ঘনিষ্ঠতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। মহুয়া এবং পিনাকী দু-জনেরই রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসের হাত ধরে। যদিও মহুয়া খুব কম সময় কংগ্রেসে ছিলেন। তবে পিনাকী ১৯৯৬ সালে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটেই সাংসদ হয়েছিলেন পুরী থেকে। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজু জনতা দলে যোগ দেন। বিজেডি-র হয়েই ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পুরী থেকে জিতেছিলেন পেশায় আইনজীবী পিনাকী। যদিও গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দেননি বিজেডির সর্বোচ্চ নেতা তথা ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ওড়িশার রাজনীতিতে গুঞ্জন রয়েছে, মহুয়ার সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই বিতর্ক এড়াতে পিনাকীকে প্রার্থী করেনি বিজেডি। পাল্টা এ-ও শোনা যায়, পিনাকীই আর প্রার্থী হতে রাজি হননি।
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
শিক্ষকের ঘাটতে মেটাতে নয়া উদ্যোগ!
২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রায় বন্ধ। বয়স্ক শিক্ষকেরা একে একে অবসর নিচ্ছেন। এমন আবহে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ফলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলেই। এ বার স্কুলে স্কুলে এই শিক্ষকের ঘাটতি মেটাতে 'ক্লাস্টার মডেল' তৈরির করতে চাইছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ইতিমধ্যেই ‘'ম্যাপিং' প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ আগামী সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টার এবং একাদশের দ্বিতীয় সেমেস্টার। তার আগেই ‘ক্লাস্টার মডেল’ চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
কী এই 'ক্লাস্টার মডেল'?
জানা গিয়েছে, শিক্ষা সংসদের তরফে এলাকা ভিত্তিক একটি হাব বা কেন্দ্র স্কুল করা হবে। ওই স্কুলের আশেপাশের কিছু স্কুলকে জুড়ে রাখা হবে তার সঙ্গে। নিয়ম অনুযায়ী, ১০ জন পড়ুয়া পিছু একজন শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু সর্বত্র এই অনুপাত দেখা যায় না। তাই স্থির করা হয়েছে, ওই হাব স্কুল এবং আশে পাশের স্কুলগুলির শিক্ষকরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব ক’টি স্কুলে ক্লাস নেবেন।
পাশাপাশি যদি দেখা যায়, কোনও স্কুলে রসায়নের জন্য ১০ জন পড়ুয়া রয়েছে এবং এক জন শিক্ষক রয়েছেন কিন্তু পাশের স্কুলে ২৫ জন পড়ুয়ার জন্য ওই বিষয়ের একজন শিক্ষকও নেই, তা হলে ওই একজন শিক্ষক তাঁর স্কুলের ১০ জন ছাত্রের সঙ্গে অন্য স্কুলের ২৫ জনকেও রসায়নের পাঠ দেবেন। এই প্রক্রিয়াকেই 'ক্লাস্টার মডেল' বলছে শিক্ষা সংসদ।
নিয়োগ পত্র পেয়েও স্কুলে যোগ দিলেন না ৫০০-রও বেশি শিক্ষক!
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২৪ থেকেই চলছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু, নিয়োগপত্র পেয়েও নিজেদের স্কুলে যোগ দিলেন না প্রায় ৫০০-রও বেশি পরীক্ষার্থী। কেন? কারণ জানা গেল স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের।
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, নিয়োগপত্র হাতে পেয়েও বহু শিক্ষকেরা চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন না। সংখ্যাটা প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি হবে। উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে এমনই তথ্য উঠে এল এসএসসির হাতে।
জানা গিয়েছে, ওই ৫০০ পরীক্ষার্থী কাউন্সিলিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন, নিয়োগ পত্রও হাতে নিয়েছিলেন, কিন্তু স্কুলে যোগ দেননি। এসএসসি-কে সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। সুন্দরবন, উত্তরবঙ্গের একাধিক প্রান্তিক অঞ্চলে এই পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশেরই চাকরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তাঁরা নিয়োগপত্র হাতে পেয়েও চাকরিতে যোগ দেননি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোস্টিং হওয়ার জন্যই শিক্ষকের চাকরিতে অনীহা বলে মনে করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে গত বছর থেকে। অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীর স্কুল পছন্দ না হওয়ায় নিয়োগ পত্র হাতে নিয়েও যোগ দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
বঙ্গে কবে বর্ষা? কী বললছে আবহাওয়া দফতর
মঙ্গলের রাতে প্রবল বৃষ্টির দাপট দেখল কলকাতা। সন্ধ্যা থেকেই ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির ছবি দেখা গিয়েছে বেশকিছু জেলায়। তবে আপাতত বর্ষা আসার সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। এমনটাই বলছে আবহাওয়া দফতর। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমের গরম হাওয়ায় থমকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলে নির্ধারিত ১০ জুনের পরেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা পা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের একাংশ বলছেন, বর্ষা আসতে আসতে হয়ে যেতে পারে ১২ জুন। আপাতত কলকাতা-সহ সাত জেলায় গরম এবং আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়া থাকবে। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলিতে গরমের কারণে চরম অস্বস্তি থাকবে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৪৬ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে। তবে আগামী ৪৮ ঘন্টাতে একদিকে যেমন অস্বস্তিকর গরম থাকছে তেমনই অন্যদিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইবে একাধিক জেলায়। কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টাও হতে পারে।