ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সাম্মানিক বৃদ্ধি পেয়েছে আগেই। এবার আর সেই ভাতা সরাসরি প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এতদিন ভাতা বা সাম্মানিক নগদে পঞ্চায়েত, সমিতি, জেলা পরিষদ দফতর থেকে দেওয়া হটো। শুধু তাই নয়, বছরে পর বছর বহু সমিতি বা জেলাপরিষদে এই ভাতা বকেয়া পড়ে থাকত। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পঞ্চায়েত সদস্য, সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের সাম্মানিক বা ভাতা একেবারে নবান্ন থেকে সরাসরি সমস্ত জনপ্রতিনিধির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যের বহু প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক ঘাটতি। অন্তত বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদগুলির তরফে জারি করার নির্দেশিকার জেরে তেমন ছবি ধরা পড়েছে।
ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগণা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের তরফে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে কোন কোন প্রাথমিক স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংখ্যা কত তা রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়ার জন্য সাব-ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকার জেরেই জল্পনা চরমে।
ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগণা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিভিন্ন সাব-ইন্সপেক্টরদের থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান হয়েছে। মূলত কোন স্কুলে কত জন করে শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন "শুধুমাত্র রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি।"
প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক অঞ্চলে স্কুলগুলি থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি হওয়ায় একাধিক স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার জেরে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগণা নয়, একাধিক জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানরাই সমস্যায় পড়েছেন। তার জেরেই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে সমন্বয় সাধন করতে চাইছে বিভিন্ন জেলা।
কোভিড বাধা সরিয়ে ফের অফলাইনে পরীক্ষায় বসবে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তবে সংক্রমণের ভয়ে এই প্রথম হোম সেন্টারেই পরীক্ষা হবে উচ্চ মাধ্যমিকের। তবে এতে নকলের ভয় পাচ্ছেন শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বুধবার একটি চ্যানেলের হয়ে শ্যুটিং করছিলেন তিনি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরেই শ্যুটিং সেট থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পরে বাড়িতে ফিরেও তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুধবার রাত ১টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, একাধিক বাংলা হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি পথভোলা দিয়ে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ তাঁর। প্রাণের চেয়েও প্রিয়, গীত সংগীত, তুফান, সুজন সখী, অমর প্রেমের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। একক নায়ক হিসেবে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু, পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। সম্প্রতি একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই অভিনেতার আচমকা প্রয়াণে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়।
রামপুরহাট কাণ্ডে উত্তাল গটা রাজ্য। এমন আবহের মধ্যে এবার নদিয়ার বগুলায় গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল নেতা। সহদেব মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণীর জওহলাল নেহরু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পেশায় স্কুল শিক্ষক সহদেব মণ্ডল এ দিন রাত আটটার পরে বাজার করে বগুলার মুড়াগাছা এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাড়ির কাছেই একটি মাঠের সামনে সহদেববাবুর বাইকের পথ আটকে দাঁড়ায় আরও একটি বাইক। সেই বাইকে থাকা ছিল তিন জন। আচমকাই তাদের মধ্যে একজন সহদেববাবুকে লক্ষ্য করে দু-টি গুলি চালায়। একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও অন্য গুলিটি তৃণমূল নেতার মাথায় লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলির শব্দ এবং চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। ততক্ষণে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
প্রয়াত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিনই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় নিমতলা মহাশ্মশানে।
দীর্ঘ দিন আটকে আছে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সহ একাধিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এর ফলে বেশ সমস্যায় পড়েছেন এই রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের একটা বড় অংশ। এমন সময় নিয়োগ নিয়ে ভাল খবর শোনালেন শিক্ষামন্ত্রী। 'রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ খুব দ্রুত শুরু হবে।' বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, "দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে এখন নিয়োগ নিয়ে কিছু সমস্যা চলছে।
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, "নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজের এলাকাতেই মিলবে চাকরি। নিজের জেলা, সদর, মহকুমায় মেধাবিদেরকে যাতে বিদ্যালয়ে পড়ানোর সুযোগ দেওয়া যায়, সেই প্রচেষ্টাও চলছে। একটি পোর্টাল বানানো হবে। সেখানেই এই সমস্ত বিষয়ে আবেদন করা যাবে।"
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বারবারের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। টেট উত্তীর্ণরা নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কখনই বিকাশ ভবনের সামনে, কখনও হাজরা উত্তপ্ত হয়েছে। পারদ চড়েছে জেলাগুলিতেও। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, তাঁদের অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বার বার। মনে করা হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রীর এমন আশ্বাস চাকরিপ্রার্থীদের জন্য যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ।
