আনিস-কাণ্ডের পর কি আর কেউ পুলিশি তদন্তে বিশ্বাস করবে? আদালতের মন্তব্যে মুখ পুড়ল রাজ্যের

 

এদিন আনিস খান হত্যা মামলা শুনানি শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে। তবে শুনানি শেষ হলেও আদালত রায় দেয়নি। বরং আনিসের ঘটনাটি নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়ে রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় শুধু পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। এর পরও কি পুলিশের তদন্তের উপর রাজ্যের মানুষের আস্থা থাকবে?

বস্তুত, এদিন, মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীনই বার বার আনিস-কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। প্রথমেই, আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, আনিস সংক্রান্ত ঘটনা প্রবাহের সূত্রপাত এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পাঠানো মোবাইল বার্তা থেকে।

অন্তত তেমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু মূল অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই, তাই এর নেপথ্যে কোনও বড় ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তৃতীয়ত, আনিসের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, এক থানার মামলায় অন্য থানার পুলিশ গিয়েছে অভিযান চালাতে। সেই প্রক্রিয়াও ত্রুটিপূর্ণ। এর পরই আদালত বলে, কোন পদমর্যাদার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। চিন্তার বিষয় হল, অভিযোগ একমাত্র পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠেছে। রাজ্যকে আদালতের প্রশ্ন, এর পরও কি পুলিশের তদন্তে সাধারণ মানুষ বা অভিযুক্তের পরিবার বিশ্বাস রাখবে?

Read More

মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যের জের; গ্রেফতার ইউটিউবার রোদ্দুর রায়

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অকথ্য ও কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন লেখক রোদ্দুর রায়। হেয়ার স্ট্রিট থানা সহ আরও বেশ কয়েকটি থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।

মঙ্গলবার অবশেষে গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হল রোদ্দুর রায়কে। 

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে কিংবা ইউটিউব ভিডিও করে বিতর্ক তৈরি করেন রোদ্দুর। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন তিনি। দেড় ঘণ্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিভিন্ন বিশিষ্টজনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সারাধণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও। যার জেরে গত ৩ জুন রোদ্দুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। এফআইআরে অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন রোদ্দুর রায়। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানান হয়। 

Read More

মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়!

 

সম্প্রতি বীরভূমের স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থী ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাস। সোমার চাকরি পাওয়ার জন্য এবার হাইকোর্টের এজলাসে বসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক নির্দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই প্রসঙ্গে এ দিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি একটা অনুরোধ করেছিলাম। সরকারের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের বিবেচনা করতে বলেছিলাম। আমি জানতে পারলাম সোমা স্কুলে যোগদান করেছে। সেটা কার্যকর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমি খুব খুশি হয়েছি।' 

Read More

এক জনের উপর রাগে দলকে ভুল বুঝবেন না, মন্ত্রী পরেশের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন নেত্রী?

 

উত্তরবঙ্গ সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রয়েছেন দলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু অনুপস্থিত কোচবিহারের বিধায়ক এবং মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর।

তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া উষ্মার কথা মাথায় রেখেই হয়তো ঘুরিয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানালেন, স্থানীয় কারও উপর রাগ করে গোটা তৃণমূলকে যেন কেউ ভুল না বোঝেন। 

মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মমতা বলেন, "স্থানীয় কারও উপর রাগ করে দলটাকে ভুল বুঝবেন না।" তাঁর আরও সংযোজন, "কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে আমায় দোষ দিন। ভুল করলে আমরা তা সংশোধনও করি। কিন্তু বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না।" 

প্রসঙ্গত, এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি, হাই কোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি গিয়েছে মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার। এই প্রেক্ষিতে মমতার উত্তরবঙ্গ সফরে কোথাও পরেশকে দেখা যায়নি। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এমন কোনও খবরও তৃণমূল সূত্র থেকে পাওয়া যায়নি। 

Read More

প্রাইমারি টেটেও পাশ না করে চাকরি; আদালতে দায়ের মামলা

শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। এবার প্রাইমারি টেটেও দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ, পরীক্ষায় পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে।  তদন্তের দাবিতে এবার একাধিক মামলায় দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।

মঙ্গলবার বিকেল তিনটেয় মামলার শুনানি।  ইতিপূর্বে এই দুর্নীতি নিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসেও দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। 

২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, সুব্রত মণ্ডল-সহ ৮৬ জন প্রার্থী টেটে পাশ না করেও শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। এই দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন রমেশ মালি-সহ একাধিক আবেদনকারী। মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী।  মামলকারীদের আইনজীবীর আশঙ্কা, সময় নষ্ট হলে নথিও নষ্ট হতে পারে। এর পরই বিচারপতি জরুরি ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। বিকেল তিনটেয় শুনানি। 

Read More

গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত-কন্যা!

 

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র নজরে এ বার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা। যদিও আগেই গরুপাচার মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রতকে। তার পরেই সিবিআইকে নিজের সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই হিসাব খতিয়ে দেখার পরেই উঠে এসেছে অনুব্রত-কন্যার নাম। যদিও সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কিনা, বা হলেও কবে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।প্রসঙ্গত,গরুপাচার মামলায় সম্প্রতি বেশ কয়েক বার অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই। তৃণমূলের ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তির হিসাব চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতের দেওয়া সম্পত্তির হিসাব ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামেও বেশ কিছু সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। তার মধ্যে বেশ কিছু সম্পত্তি কেনা হয় ২০১৪ সালে। এ ছাড়া সিবিআইয়ের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, সম্পত্তির হিসাব সংক্রান্ত যে সব নথি দেওয়া হয়েছিল, তার বাইরেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির। 

Read More

অবলুপ্ত রিক্রুটমেন্ট বোর্ড; এবার থেকে গ্রুপ ডি পদে কর্মী নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রুপ-ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফে বিধানসভায় বিল এনে গ্রুপ-ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়।

সাত বছরের মাথায় সেই গ্রুপ-ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডকেই এবার তুলে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। 

নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর,  এই বোর্ড গঠনের পর প্রায় ৬০০০ গ্রপ-ডি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি দফতরে। কিন্তু তারপর, বহুদিন আর নয়া কোনও নিয়োগ হয়নি এই বোর্ডের মাধ্যমে। অতীতে এই বোর্ডের মাধ্যমে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে তা নিয়েও বিতর্কও তৈরি হয়। 

 আরও জানা গিয়েছে, এবার থেকে সরকারের বিভিন্ন দফতরের গ্রুপ-ডি বিভাগে কর্মী নিয়োগ করবে স্টাফ সিলেকশন কমিশন। রাজ্য সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থার উপরই আপাতত গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ভার বর্তাচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগে রাজ্য বিধানসভায় এই নিয়ে একটি রিপিল বিল আনতে হবে সরকার পক্ষকে। সেই রিপিল বিলের মাধ্যমে বিধানসভার অনুমতি নিয়েই গ্রুপ-ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড বাতিল করা হবে। 

Read More