নির্ধারিত দিনের আট দিন পর মৌসুমী বায়ু ঢুকল দক্ষিণবঙ্গে। ১২ই জুন বর্ষা এসেছিল উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি অক্ষরেখা ১২ তারিখের পর থেকে মালদহের উপর অবস্থান করছিল।
নির্ধারিত দিনের আট দিন পর মৌসুমী বায়ু ঢুকল দক্ষিণবঙ্গে। ১২ই জুন বর্ষা এসেছিল উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি অক্ষরেখা ১২ তারিখের পর থেকে মালদহের উপর অবস্থান করছিল।
নিহত ছাত্র নেতা আনিস খানের দাদা সামসুদ্দিন খানকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করেছে সিপিএম। গত বছর আনিসের বাড়িতে হানা দেয় আমতা থানার পুলিশ। তাঁকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সিপিএম সূত্রের খবর, কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী করা হয়েছে সামসুদ্দিনকে।
প্রসঙ্গত, গত বছরই বাংলার রাজনীতিতে আনিস খানের রহস্য মৃত্যু বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করছিল। বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় আনিস খানের। সেই রাতে তাঁর সঙ্গে বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন কয়েকজন পুলিশ কর্মী। তাঁর রহস্যমৃত্যুতে পুলিশেরই হাত রয়েছে বলে প্রথম থেকে অভিযোগ করে আসছিল আনিসের পরিবার। ঘটনার পর সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম-সহ একাধিক বার সিপিএম নেতৃত্বকে আনিসের বাড়ি যেতে দেখা যায়। ঘটনার পর আনিসের বাড়িতে এসেছিলেন জেএনইউ-এর ছাত্রমেতা উমর খালিদের বাবাও।
একটা মৃত্যু, রাতারাতি হাওড়ার আমতার একটি প্রত্যন্ত অখ্যাত গ্রামকে খবরের শিরোনামে এনেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে। তাতে নাম রয়েছে পাঁচ পুলিশ কর্মীর। নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীরও।
পঞ্চায়েত ভোটের ময়দানে এবার বড় চমক। ভোট ময়দানে সাংসদ মিমির গোটা পরিবার। জলপাইগুড়ির মেয়ে পেশায় অভিনেত্রী এই সাংসদের তিন মামিই এবার ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। তবে চমকের এখানেই শেষ নয়। মিমি চক্রবর্তীর তিন মামি আসলে দাঁড়িয়েছেন একই আসন থেকে।
মিমির তিন মামি তিন রাজনৈতিক দলে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে। একই পরিবার, এক সঙ্গেই ওঠা-বসা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পৃথক তিন দলের হয়ে একই আসন থেকে লড়ছেন পুনম চক্রবর্তী, পর্ণা নাগ চক্রবর্তী ও কান্তা চক্রবর্তী।
এই তিন প্রার্থীই সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামি। আর সেকারণেই পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এলাকায় রাজনীতির পারদ চড়ছে। শোনা যাচ্ছে, মিমির শুভেচ্ছা-বার্তা তিন মামির কাছেই পৌঁছেছে। তবে কোনও মামি জিতলে ভাগ্নি সবথেকে বেশি খুশি হবেন তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পান্ডাপাড়া ১৭/১৫৫ নম্বর বুথ থেকে প্রার্থী হয়েছেন এই তিন জা। একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছেন। বড় জা কান্তা চক্রবর্তী কংগ্রেস প্রার্থী। মেজো জা পর্ণা নাগ চক্রবর্তী সিপিএমের হয়ে লড়ছেন আর ছোট জা পুনম চক্রবর্তী লড়ছেন ঘাসফুল প্রতীকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ মিটে গেছে আগেই, এবার প্রচারের তোড়জোড় শুরু করতে চলেছেন এই তিন প্রার্থী। তবে ভোটের লড়াইকে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না কেউই। তিনজনই বলছেন, রাজনৈতিক লড়াইটা যে প্রতীকেই হোক না কেন, সংসারে এবং সম্পর্কে তার দাগ লাগবে না।
পঞ্চায়েত নির্বাওনের মুখে ভাঙড়ে আইএসএফ নেতা খুনে এবার আরাবুল ইসলাম, তাঁর ছেলে হাকিমুল-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে দায়ের খুনের মামলা। অন্যদিকে মামলা দায়ের হয়েছে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ একাধিক আইএসএফ নেতার বিরুদ্ধেও। যদিও আরাবুলের দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই।
মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাঙড়। পরিণত হয়েছিল বোমা-বারুদের স্তুপে।
গ্রেফতার হওয়ার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন ছিল ১১০ কেজি। তারপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পেঁয়াজের খোসার মতো সামনে এসেছে অনেকের নাম। আর অন্যদিকে, জেলের ভাত খেয়ে নাকি অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন পার্থ!
গত ১৯ এপ্রিল থেকে আলোচনার কেন্দ্রে আসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর এই তিন আংটি। ওই দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের ভার্চুয়াল শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে কেন সোনার তিনটে আংটি রয়েছে? আইনজীবী দাবি করেন, এর থেকেই প্রমাণিত হয়, পার্থ কতটা প্রভাবশালী। জেলে গয়না পরে থাকার অনুমতি থাকে না, অথচ, তিনি দিব্যি সেই অনুমতি পেয়েছেন। এমনটা হয় কী করে?
এরপরেই আংটি নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন বিচারক। প্রথমে ধর্মীয় ভাবাবেগের দোহাই দিতে দেখা যায় পার্থকে। কিন্তু, বিচারক আইনি প্রশ্ন তুললে, জোর করে টেনে আঙুল থেকে সোনার আংটিগুলি খুলে ফেলে দেন পার্থ।
কিন্তু, আংটির বিষয়টি ওখানেই থেমে থাকেনি। এরপরে ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় এডিজি (কারা)-র কাছ থেকে আংটি কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করা হয়। আজ, ১৯ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন ২০২২ সালের ৫ অগাস্ট প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আসেন, তখন তাঁর কাছে ছিল একটি হাতঘড়ি, একটি পেন ও তিনটি সোনার আংটি৷ সেই সময় পেন ও হাতঘড়ি জমা করা হলেও আংটি তিনটি পার্থর হাত থেকে খোলা যায়নি। কারণ, তখন নাকি পার্থর আঙুলগুলো ফুলে ছিল। তাঁর ওজন ছিল ১১০ কিলোগ্রাম৷ আংটি খুলতে যেতেই নাকি ব্যথায় চিৎকার করে ওঠেন পার্থ। এরপর বিষয়টি সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসারকে জানানো হলে, তিনি আংটিগুলি না খোলারই পরামর্শ দেন তখনকার মতো।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এ বার দলের অন্দরে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব চলতে চলতেই কালীঘাটের দলীয় মিটিংয়ে কড়া বার্তা দিলেন নেত্রী। বললেন, 'যাঁরা নির্দল হয়ে ভোটে লড়ছেন তাঁদের দলে ভবিষ্যতে ফেরানো হবে না। আপনারা ভাল করে জেনে রাখুন। কেউ যদি ভাবেন তাঁর সিদ্ধান্ত দল মেনে নেবে, সেটার কোন প্রশ্ন নেই।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'মানুষকে গ্রামে গ্রামে গিয়ে জানান তৃণমূল কংগ্রেস কী কী ভাবে সাহায্য করেছে। প্রচারে প্রতিটি জেলার উন্নয়নের কথা ও তালিকা ধরে রাখতে হবে। বামেদের সময় পঞ্চায়েত নিয়ে মানুষের যে ধারণা ছিল তা তৃণমূল বদলে দিয়েছে এটা জানান। বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ঠিক তার উল্টোটা করেছে এটা বোঝাতে হবে প্রচারে। আগামী ২২ তারিখ থেকে প্রতি অঞ্চল ধরে ধরে প্রচারে সিনিয়র নেতারা থাকবেন।
পাশাপাশি নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের নজরে যে রয়েছে মহিলা ভোট, সেটিও এদিন স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আলাদা করে মহিলা ভোটের দিকে নজর দিতে বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। বলেন, 'মহিলা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করো। বঙ্গ জননীকে আরও কাজে নামাও। শশী আর মালার সাথে কথা বলো। ওদেরকেও নামাও।'
তৃণমূলের বুথ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ। ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরের অভিযোগও সামনে এল। কাঠগড়ায় সিপিএম। ঘটনার পর চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ঘাটালের কোতুলপুরে। অভিযোগ অস্বীকার সিপিএম-এর। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের কিসমত কোতুলপুর এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় ভোটের জন্য চলছিল মিছিল। সিপিএম-এর পক্ষ থেকে সেই মিছিল করা হয়। অভিযোগ, সেখান থেকেই তৃণমূলের বুথ কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে সিপিএম-এর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি, পাটি অফিসে ঢুকে সিপিএম-এর লোকজন তাঁদের মারধর করেছে।
এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত ঘাটাল। শাসকদলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও, সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে, এইসব দাবি মিথ্যে। ওই এলাকায় একসময় যাঁরা তৃণমূল করত তাঁরা এখন বামেদের দিকে চলে এসেছে। এটাই শাসক গোষ্ঠীর রাগ। ওই এলাকায় থাকা সিপিএমের একটি পার্টি অফিস তৃণমূল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল। কাল ওখানকার আমাদের কর্মীরা সেই পার্টি অফিসে পতাকা বেঁধে ফিরছিলেন। সেই সময় প্ররোচনার সৃষ্টি করে তৃণমূল। এতেই উভয়ের মধ্যে বচসা হয়। এর থেকে বেশি কিছু হয়নি। কোনও রকম মারধর পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়নি। যদিও, তৃণমূল বলেছে মিছিল চলাকালীনই তাদের উপর হামলা চালিয়েছে সিপিএম কর্মীরা।