বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার দুপুর থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি। রবিবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়ার পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কমবে বৃষ্টি।
বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার দুপুর থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি। রবিবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়ার পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কমবে বৃষ্টি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি সৌমিত্র খাঁর। দেশের সংবিধানকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে অভিষেক যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত অবমাননাকর। সংবিধান অনুযায়ী বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমরা যেতে পারি না। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ যে মন্তব্য করেছেন, তা বিচারব্যবস্থা তথা সংবিধানের অপমান। অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজ করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অনেক অশান্তি চলছে বাংলায়। ফলপ্রকাশের পরও সেই পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।
রাতে ৬ ভোটে জয়ী। পরের দিন সকালে ১০৫ ভোটে হার।
'প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির কিং পিন কে? দুর্নীতির পিছনে কার মাথা'? ইডি-র কাছে জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর প্রশ্ন, 'তদন্ত কী অনন্তকাল চলবে? এটা কী ধরনের তদন্ত হচ্ছে'?শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় এক যোগে তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। সেই তালিকায় এবার জু়ড়ে গিয়েছে পুর নিয়োগে দুর্নীতিও! কীভাবে? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি এখন ইডি-র হেফাজতে অয়ন শীল।
এদিন হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানিতে প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, 'আপনারা যখন দুর্নীতির একটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌছবেন, তখন তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আদৌ কি থাকবে। কাঙ্খিত গতিতে আপনাদের তদন্ত চলছে না। টাকা নিয়ে চাকরি পেয়েছেন কারা, খুঁজে বের করুক সিবিআই'।
সুপ্রিম কোর্টে ফের স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি। শুক্রবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ফের তা স্থগিত হয়ে যায়। শুনানির পরবর্তী তারিখও এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসের আগে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ডিএ নিয়ে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের করা মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে সুপ্রিম কোর্টে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী ৩ লক্ষের বেশি কর্মচারীকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হলে ৪১ হাজার কোটি টাকার প্রভাব কোষাগারের উপর পড়বে। যদিও রাজ্যের দাবি, রাজ্যের নিজস্ব সার্ভিস রুল আছে। এদিন ফের মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের হতাশা আরও বাড়বে তাতে সন্দেহ নয়।
ভোট মিটলেও ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। এবার ভাঙড় যাওয়ার পথে নিউ টাউনে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির পথ আটকায় পুলিশ। বাধা পেয়েই রাস্তার উপরেই প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করতে থাকেন ভাঙড়ের বিধায়ক। ওই পথ দিয়েই তিনি ভাঙড়ে ঢুকবেন বলে অনড় থাকেন আইএসএফ বিধায়ক।
পুলিশের দাবি, নির্বাচন এবং ভোট গণনা পর্বে ভাঙড় উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সেই কারণেই নওশাদ সিদ্দিকিকে আটকানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল দশটার কিছু পরে নিউ টাউনের হাতিশালা হয়ে ভাঙড়ের দিকে যাচ্ছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু হাতিশালার কাছে তাঁর গাড়ি আসতেই আটকায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছিলেন নিউ টাউনের ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। নওশাদ সিদ্দিকিকে পুলিশ জানায়, ওই পথ দিয়ে তাঁর ভাঙড় যাওয়ার অনুমতি নেই। যদিও পুলিশের আপত্তি মানতে চাননি নওশাদ। পুলিশের কাছে লিখিত নির্দেশিকা দাবি করেন তিনি। সেই নথিও তাঁকে দেওয়া হয়। এর পরেও অবশ্য এলাকা ছাড়তে চাননি নওশাদ।
ক্ষুব্ধ নওশাদ দাবি করেন, তিনি ভাঙড়ের আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। জাহানারা খাতুন নামে এক আইএসএফ প্রার্থী এখনও ভাঙড় থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নওশাদ। তিনি বলেন, 'আমি তো পুলিশের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে পারি না। তাই এখানেই অপেক্ষা করছি। এই রাস্তা দিয়েই আমি ভাঙড় যাবো।'
পাল্টা নিউ টাউনের ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এই রাস্তা দিয়ে ভাঙড়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বারুইপুরের মহকুমা শাসক এই নির্দেশ দিয়েছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বিধায়কের নাম নেই। তাই আমরা ওনাকে এই রাস্তা দিয়ে যেতে দিইনি।'
গত মঙ্গলবার রাতে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। বেশকিছু এলাকায় চলে বোমাবাজি-গুলি। ভোটপর্বে ভাঙড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এদিন ভাঙড়ের এই একের পর এক অশান্তির ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শওকত মোল্লা। গণনাকেন্দ্রে মঙ্গলবার রাতে যে সন্ত্রাসের ছবি দেখা গিয়েছিল, তা আগে কখনও ভাঙড়বাসী দেখেননি বলে মন্তব্য করেন ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতা।
অপরদিকে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। নওশাদের দাবি, তদন্ত হলে সবটাই সামনে আসবে। এদিন নমুনা সংগ্রহ করতে ভাঙড়ে পৌঁছয় ফরেন্সিক টিম।
ভোট, গণনা সব মিটে যাওয়ার পরেও যেন এখনও শান্ত হয়নি ভাঙড়। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায় এলাকায়। গ্রামবাসীদের চোখে মুখে ধরা পড়ছে আতঙ্কের ছবি। ভাঙড়ের এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, 'গতকাল রাত ৮টায় জানতে পারি ২ জেলা পরিষদ প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রাত ১২টা বেজে গেলেও শংসাপত্র আমাদের দেওয়া হয়নি। পরে একজনকে শংসাপত্র দিলেও আরেক প্রার্থী জাহানারা বিবিকে দেওয়া হয়নি। উনি আরাবুল-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। আরাবুল দুষ্কৃতী নিয়ে গণনাকেন্দ্রে গিয়ে হামলা করেন, মারধরও করেন। আরাবুল গণনাকেন্দ্র দখল নিলেন, সরকারি আধিকারিকরা কী করছিলেন? আমরা এই ঘটনার তদন্তে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আদালতে যাব।"