একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে পশ্চিম মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায়। এর ফলে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ সংলগ্ন উপকূলে। আজ এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩
পঞ্চায়েত হিংসায় CBI-NIA তদন্ত চায় বিজেপি!
জমা পড়লো বিজেপি-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্ট। এবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাঁরা। এমন খবর পাওয়া গিয়েছে বিজেপি সূত্রে। মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সারা দেশ। এই নিয়ে সংসদের ভেতরে বাইরে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী জোট। এর পাশপাশি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছে তাঁরা। এই অবস্থায় বিরোধী জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দল তৃণমূলের বিরদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তাঁরা। প্রথম থেকেই এই বিষয়ে সরব ছিল বিজেপি।
রিপোর্টে লেখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বরাবরই হিংসা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রাণহানি একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তাঁর TMC দল এবং তাদের জোটসঙ্গিরা অপরাধী গুন্ডা এবং পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে মিলে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। সেখানে আরও লেখা হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্ট বাধ্য হয়েছেন এই সম্পর্কে মন্তব্য করতে। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চল এখন সন্ত্রাসকবলিত। এবং প্রাথমিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় গুন্ডারা এই কাজ করছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে যে রাজ্যের পুলিস এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
'ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি', মানিক ভট্টাচার্যের নামে ৯৯ এফ আই আর CBI-র
নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার এবার পোস্টিং দুর্নীতি। নতুন করে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, খবর সূত্রের। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় মঙ্গলবার থেকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতিকে জেরা করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের নামে ৯৯ পাতার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি, জাল নথিকে আসল বলে চালানোর অভিযোগে এই এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আপাতত স্বস্তি পেলেন অভিষেক!
বেঞ্চ নিয়ে ফের শোরগোল। ইডি-র আপত্তি। বিচারপতির সরে দাঁড়ানো। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালতে ইডি জানাল, আগামী সোমবার পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না অভিষেকের বিরুদ্ধে।
আদালতের তরফে এর আগে এই মামলায় রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তৃণমূলের হেভি-ওয়েট নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, গত সোমবার সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা ছেড়ে দেওয়ায় পিছিয়ে যায় শুনানি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলাটি ফের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠান।
আজ, বুধবার ফের বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। উত্তরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, সোমবারের আগে মামলার শুনানি সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩
এবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি!
ত্রিপুরায় ফের বড় ভাঙন তৃণমূলে। পদ নয়, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিলেন রাজ্য সভাপতি পীষূষকান্তি বিশ্বাস। নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। পেশায় আইনজীবী। ত্রিপুরার রাজনীতিতে হেভিওয়েট নেতা হিসেবেই পরিচিত পীষূষকান্তি বিশ্বাস।
এর আগে, চলতি মাসেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং। গত বছর দল ছাড়েন রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি আবদুল বাসিত খানও।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা; রাজ্যের তিন দপ্তরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের তিন দপ্তরকে একসঙ্গে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বোর্ড সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। জানা গিয়েছে, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় এই চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। ২০১৬ সালে এই দুই বিভাগের জন্য পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশ অমান্য; শিক্ষাদপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাই কোর্টের
কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারপতি। ব্রাত্য বসুর দপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছিল। ২০১৬ সালে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু সাড়ে ছ-বছর পেরিয়ে গেলেও সেই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সেই মামলাতেই রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।