ফের মোড় ঘুরছে বর্ষার। আজ থেকেই আবহাওয়ার বদল হতে চলেছে বঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানিয়েছে, আপাতত বেশ কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৩
সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনেই তীব্র বচসায় জড়ালেন বাবুল-ইন্দ্রনীল!
ফের বিধানসভায় বিতর্কে জড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার প্রকাশ্যেই সতীর্থ ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী। বিধানসভার করিডোরে রীতিমতো গলা চড়িয়ে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। সামনে সাংবাদিকরা থাকায় বাবুলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন ইন্দ্রনীল। তিনি বলেন, "তুই এভাবে এখানে কথা বলিস না।" তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি।
জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে বাবুলের দপ্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের দায়িত্ব মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর কমিটিগুলি নিয়ে গত ২২ আগস্ট ইন্ডোরের বৈঠকে মন্ত্রী বাবুলের খোঁজ করে না পেয়ে শারদোৎসবে সমস্ত পুজো মন্ডপে পর্যটন দপ্তরের বাড়তি প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব ইন্দ্রনীলকে দেন মমতা। দায়িত্ব পেয়েই পুরানো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড়ের গতিতে কাজও শুরু করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুজনকে একসাথে পর্যটনের কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাইরে বেরিয়েই তাঁর দপ্তরের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে করিডোরে মেজাজ হারান বাবুল। বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ করিডোরে দেখা যায়, বাবুল আর ইন্দ্রনীল পাশাপাশি হেঁটে আসছেন। কিন্তু সমানে বচসা চলছে দু-জনের। ইন্দ্রনীলের বাবুল বলছেন, "তুমি আমার দপ্তরের কাজ আটকাচ্ছো কেন?" কিন্তু কী কাজ আটকাচ্ছেন তা বলেননি বাবুল। এর পরে পালটা ইন্দ্রনীল বলেন, "তোর যা বলার তুই দিদিকে গিয়ে বল।" বয়সে ইন্দ্রনীলের থেকে ছোট বাবুল বলেন, "হ্যাঁ, সে আমি বলেছি তো। দরকার হলে আবার বলব। তুমি এভাবে আমার কাজ আটকাতে পার না।" ইন্দ্রনীলও চুপ ছিলেন না। পালটা বলেন, "তুই এখানে এভাবে কথা বলিস না। তোর কাজ আমি কেন আটকাতে যাব। বললাম তো, কিছু বলার থাকলে দিদিকে বল।" চিফ হুইপ নির্মল ঘোষের ঘরের সামনে পৌঁছে বাবুলও কিছুটা হুমকির সুরে জানিয়ে দেন, যার করার তিনি করে দেখাবেন। ততক্ষণে সাংবাদিকরা পিছু নেওয়ায় নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন ইন্দ্রনীল। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরেই বাবুল বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু ইন্দ্রনীল প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর ও পরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ঘরে সন্ধে পৌনে ছ-টা পর্যন্ত স্বাভাবিক মেজাজেই ছিলেন। বিষয়টি জানতে চাইলে এড়িয়েও যান।
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই লোকসভা ভোট? মেয়ো রোডের সভায় 'আশঙ্কা' মুখ্যমন্ত্রীর
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে বলে ফের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মেয়ো রোডে দলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি দাবি করেন, আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট সেরে ফেলতে পারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
নওশাদকে তলব সিআইডির!
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে অশান্তি সংক্রান্ত ঘটনায় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে তলব সিআইডির। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সোজা সিআইডির দফতর ভবানী ভবনে হাজির হলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যান তিনি। জানান, ৩১ অগস্ট ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে তাঁকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানায় গত ১৬ জুন পঞ্চায়েত ভোটে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
গত ১৬ জুন নওশাদ-সহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ করেছিলেন ভাঙড় ২ ব্লকের হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা ঋত্বিক নস্কর। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা করানোর জন্য হাটগাছার কয়েক জন বাসিন্দাকে নিয়ে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর রাজু নস্কর ভাঙড় ২ ব্লকের দিকে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। পানাপুকুরের কাছে তাঁদের দু-জনকে ফেলে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটাতে থাকেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের কাছে বোমা-বন্দুকও ছিল। দুষ্কৃতীরা ইট দিয়ে থেঁতলে এবং টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর শ্বশুর রাজু নস্করকে খুন করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে গুলিও করা হয়। কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছিলেন ঋত্বিক। তাঁর দাবি, এর নেপথ্যে ছিলেন আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁর আরও দাবি, নওশাদের 'চক্রান্ত এবং প্ররোচনা’য় এই হামলা চালানো হয়েছিল। ঋত্বিকের অভিযোগের ভিত্তিতে নওশাদের বিরুদ্ধে ২৭৭ নম্বর এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছিল কাশীপুর থানার পুলিশ। সেই মামলাতেই নওশাদকে তলব সিআইডির।
শ্রম সংক্রান্ত ছোট অপরাধে আর জেল নয়, রেহাই জরিমানাতেই, এদিন বিধানসভায় পাশ নয়া বিল
শ্রম সংক্রান্ত ছোটখোটো অপরাধে আর জেল নয়। মোটা অঙ্কের জরিমানা দিলেই মুক্তি মিলবে সংস্থার মালিকদের। এই মর্মে পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বিল (সংশোধনী), ২০২৩ পাশ হল বিধানসভায়। রাজ্যকে আরও শিল্পবান্ধব করে তুলতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। এতদিন শ্রম সংক্রান্ত ছোটখাটো অপরাধে জরিমানার পাশাপাশি সংস্থা কর্তৃপক্ষের কারাবাসের নিদান ছিল শ্রমিক কল্যাণ আইনে।
২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, শ্রম আইনে ছোটখাটো অপরাধে জেল তুলে দিয়ে আর্থিক জরিমানা বৃদ্ধি করা হোক। সে কথায় মাথায় রেখেই এবার রাজ্যের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইনে বদল আনা হল। উল্লেখ্য, এই সংশোধনী বিলের উপর আরও কিছু সংশোধনী চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অথচ তিনিই এদিন বিল পাশের সময় বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন। যার দরুণ বিজেপি বিধায়ককে তীব্র ভর্ৎসনা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সংশোধনী বিলে শুধু আর্থিক জরিমানা বৃদ্ধি নয়। বদল এসেছে লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ড বা শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের সদস্যদের বেতন সীমাতেও। এতদিন পর্যন্ত মাসিক ১৬০০ টাকা বেতনভোগীরাই বোর্ডের সদস্য হতে পারতেন। এবার সেই বেতনসীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা।
লোকসভার আগেই অভিষেক গ্রেফতার? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? পড়ুন
রাজ্যের বেশকিছু দুর্নীতিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জড়িত বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সামনে পড়েছেন অভিষেক।
অপরদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার আগেই মঞ্চ থেকে একের পর এক আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে এতটুকু যদি প্রমাণ থাকে ইডি, সিবিআইয়ের কাছে,আমি বলছি একটা ফাঁসির মঞ্চ করো। আমি যেদিন এসেছি, তার পরের দিন ইডি-কে রেইড করতে পাঠিয়েছে। আমার অফিসের কম্পিউটারে ১৬ টা ফাইল ডাউনলোড করে এসেছে। আবার পরের দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যদি রেইড করত, তাহলে আপনারাই বলতেন কলেজের লিস্ট পাওয়া যেত।"
এমনকী অভিষেক যখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন, তখনও বিরোধীরা তাঁর দেশে ফিরে আসা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে কটাক্ষও করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলেও তিনি বলেন, "আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে গেছি। এমনভাবে তোলা হল যে, আমি ফিরব না। আমার পদবি মোদি, মাল্য নয়, আমার পদবি চোকসি নয়, আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথা উঁচু করে লড়াই করতে জানি।"
রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
১০০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলবে; এমনটাই মনে করছেন গদর ২-র পরিচালক
গদর ২ ছবিটা যেন ভারতীয় দর্শকদের নস্টালজিয়া উসকে দিচ্ছে প্রতিদিন। তাই তো ২২ বছর পর সিকুয়েল আনা সত্বেও মানুষ দল বেঁধে এই ছবি দেখতে চলেছেন। ছবি মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহেও হাউজফুল যাচ্ছে শো। মাত্র ১২ দিনে এই ছবি ৪০০ কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে এটি শীঘ্রই শাহরুখের পাঠান ছবিটির সেট করা রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। শাহরুখ খান অভিনীত পাঠান ছবিটি ভারতীয় বক্স অফিসে ৫৪০ কোটি এবং বিশ্বজুড়ে ১০০০ কোটি টাকা আয় করেছে। এবার এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন অনিল শর্মা। এক সাক্ষাৎকারে অনিল শর্মা বলেছেন, তিনি বা সানি কেউই কখনও বক্স অফিসের এই যে রমরমা সেটা নিয়ে মাথা ঘামাননি, বরং তাঁরা কেবল এটুকুই চেয়েছিলেন যাতে এই ছবিটি মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে। সকলের ভালো লাগে।