বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
মহাকুম্ভের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা!
মহাকুম্ভের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় সমস্ত রাজ্যকেই শিক্ষা নেওয়ার আর্জি। আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে শুনানির আর্জি জানানো হতে পারে।
মৌনি অমাবস্যায় মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে, অত্যাধিক ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জনের। আহত ৬০ জন। এই ঘটনা নিয়েই বিশাল তিওয়ারি নামক এক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, উত্তর প্রদেশের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালতে আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, কুম্ভমেলায় সমস্ত রাজ্যের নিজস্ব সেন্টার রাখতে হবে। ইমার্জেন্সির সময় যাতে সব রকমের সাহায্য করা যায়। ঘোষণার জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রাখা উচিত। দিক নির্দেশের জন্য রাস্তায় বোর্ডের ব্যবস্থা করা উচিত। সেই বোর্ড যেন আঞ্চলিক ভাষায় হয়, যাতে সাধারণ মানুষ সেই নোটিস বা বোর্ডের লেখনি পড়তে পারেন।
'স্বাস্থ্যসাথী' নিয়ে মামলা; কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
রাজ্য সরকারের 'স্বাস্থ্যসাথী' প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা এদিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই প্রকল্পের সুবিধা অনেকেই পান না বলে দাবি করেছিলেন মামলাকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভোটে ফয়দা তোলার স্বার্থে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বাস্তবে এর কোনও কার্যকারিতা নেই। বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালে এই প্রকল্প কাজে লাগে না বলেও জানিয়েছিলেন মামলাকারী।'স্বাস্থ্যসাথী' নিয়ে সেই জনস্বার্থ মামলা বৃহস্পতিবার খারিজ করেছে আদালত।'স্বাস্থ্যসাথী' নিয়ে একটি সংস্থা হাই কোর্টে মামলাটি দায়ের করেছিল ২০২১ সালে। তাদের হয়ে সওয়াল করেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। তাঁর বক্তব্য ছিল, নির্বাচনের লাভের অঙ্ক মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে। এতে পরিবারপিছু স্বাস্থ্য খাতে ৫ লক্ষ টাকা বিমার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সুবিধা বেশির ভাগ মানুষই পান না। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীদের। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্পের সুবিধা পেতে সমস্যা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে 'স্বাস্থ্যসাথী' সংক্রান্ত সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে বৃহস্পতিবার। মামলাকারীর আইনজীবী ছিলেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
হাসপাতালেই হার্ট অ্যাটাক পার্থর!
হাসপাতালেই হার্ট অ্যাটাক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বর্তমানে মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যদিও সংকট এখনও কাটেনি বলে বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসাপাতাল সূত্রে খবর, একটি মাইল্ড অ্যাটাক হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই মুহূর্তে কার্ডিয়োলজিস্ট অনুপ খৈতান তাঁকে দেখছেন। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতের নির্দেশ মেনেই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সিবিআই'এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা-মা!
মেয়ের ধর্ষণ-খুনের ন্যায়বিচার চেয়ে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই সিবিআইয়ের তদন্তে আস্থা রাখতে পারছেন না তিলোত্তমার বাবা-মা। সিবিআই তদন্ত যেভাবে হচ্ছে, তার ধরন নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন রয়েছে। এই তদন্ত যথাযোগ্য নয় বলে মনে করছেন তাঁরা। এই নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। এবার তিলোত্তমার বাবা জানিয়ে দিলেন, সিবিআইয়ের জন্যই তাঁদের সমস্যা দিনদিন বাড়ছে। তিলোত্তমাকাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। কিন্তু, তিলোত্তমার বাবা-মার অভিযোগ, সঞ্জয় রায় একা নয়, এই ঘটনায় আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত। এই নিয়েই সিবিআইয়ের তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিলোত্তমার বাবা। বুধবার তিলোত্তমার বাবা বলেন, "একটা কথা বলতে হচ্ছি, সিবিআই আমাদের তদন্ত করতে এসেছিল। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে। এজন্য আমাদের সমস্যা দিনদিন বাড়ছে। আশা করছি, হাইকোর্টে মামলায় চাপ সৃষ্টি করে সিবিআইকে দিয়ে কাজ করাতে পারব।" কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, "সিবিআই আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে, এটাই দুর্ভাগ্যজনক।"
তিলোত্তমার বাবা-মাকে নিয়ে শাসকদলের একের পর এক নেতা মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এই নিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, "এসব নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে বিরক্ত হচ্ছি। প্রথম দিন থেকেই রাজ্য সরকার আমাদের টাকা দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা করছে। এই ধরনের মন্তব্য আশা করি না। কিন্তু, সহ্য করতে হচ্ছে। রায়ের কপি না পড়েই অনেকে খারাপ মন্তব্য করছেন। কোথাও থেকে হয়তো নির্দেশ রয়েছে, তাই বলছেন। রায়ের কপি পড়লে এমন মন্তব্য করতেন না।" গত বছরের ৯ অগস্ট তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। ৫ দিন পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার পায় সিবিআই। শাসকদলের অভিযোগ তিলোত্তমার বাবা-মা সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন? এই নিয়ে তিলোত্তমার বাবা বলেন, "কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আমরা আনিনি। আমরা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চেয়েছিলাম। এবং হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চেয়েছিলাম। হাইকোর্ট ভাল বুঝেছে, সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। এখন CBI ঠিকমতো কাজ না করলে কোর্টকে তার জবাব দিতে হবে।"
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫
উধাও শীত! চলতি সপ্তাহ থেকেই চালাতে হতে পারে ফ্যান
আজ সকাল থেকে রোদ নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, অপেক্ষা করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, তাও আবার একটা নয়, দুটো। আর তাতেই এই সব শীতের অনুভূতি বরবাদ হবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, একদিনে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ল তাপমাত্রা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গেল ১৭.৪ ডিগ্রিতে। ঠান্ডা কমল জেলাতেও। ১৪ ডিগ্রিতে ঠেকেছে বাঁকুড়ার পারদ। আগামী তিন-চার দিনে আরও কমবে ঠান্ডা। সেই ঠান্ডা ২৯-৩০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। অর্থাৎ প্রায় গরমের অনুভূতি ফিরে আসবে, ফ্যানও চালাতে হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে কমে যাবে ঠান্ডা। আর সেইদিনের অপেক্ষা আর খুব বেশি নয়। চলতি সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ শনিবার-রবিবারেই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে অনেকটা।
শীত কয়েকদিনের মতো উধাও হয়ে গেলেও আর কি ফিরবে? সেই উত্তর এখনও স্পষ্ট নয় আবহাওয়াবিদদের কাছে। ঝঞ্ঝা কাটতে কাটতে ফেব্রুয়ারি মাসের কয়েকটা দিন পেরিয়ে যাবে। তারপর আর ঠান্ডা ফিরবে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে শীত পড়লেও খুব বেশি কাঁটা ফোটাবে না আর।
অধ্যাপিকাকে সিঁদুর পরিয়ে দিল ছাত্র! পড়ুন
ক্লাসরুমেই কনের সাজে দাঁড়িয়ে থাকা বিভাগীয় প্রধানের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। এই ঘটনার সাক্ষী ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় 'ম্যাকাউট'-এর হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। বিভাগীয় প্রধানকে ইতিমধ্যে ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিভাগীয় প্রধান ওই মহিলা অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। কেন ক্লাসরুমে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার সঙ্গে তিনি মালাবদল ও সিঁদুর দান করেছেন, তা তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। উপাচার্য বলেন, "প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন, এটা তাঁদের পাঠ্যক্রমে থাকা প্রজেক্টের অঙ্গ।" ক্লাসরুমে বিয়ের নাটক যদি প্রজেক্টের অঙ্গই হয়ে থাকে তাহলে কেন ওই বিভাগীয় প্রধানকে ভাইরাল ভিডিওর জন্য ছুটিতে পাঠানো হল, সেই প্রশ্নও উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের অভিযোগ, ভিডিওয় যে পড়ুয়াকে দেখা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিছুদিন ধরে চর্চাও রয়েছে। ভিডিও প্রকাশ হতেই তাই বিভাগীয় প্রধানকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান ও ওই পড়ুয়ার হদিশ মিলছে না। ক্লাসের অন্য পড়ুয়ারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।