'অপারেশন সিঁদুর'-এর সময় ছ'টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। শনিবার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় এমন মন্তব্য করলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিংহ। এর মধ্যে পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর একটি বড় বিমান। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির পরে এত দিনে এই প্রথম এমন কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনল ভারতীয় বায়ুসেনা। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত কিছু জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ভারত। ওই সময় পাকিস্তানের কোনও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়নি। কিন্তু ভারতের অভিযানের পরে পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের উপর হামলা শুরু করে। এর জবাব দেয় ভারতে। ওই সংঘর্ষের আবহে অন্তত ছ-টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। গত মে মাসে ওই সময়ে চার দিন ধরে সামরিক উত্তেজনা চলেছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। শনিবার বেঙ্গালুরুতে 'অপারেশন সিঁদুর' প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় বায়ুসেনা প্রধান বলেন, "অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান আমরা নিশ্চিত ভাবে ধ্বংস করেছি। এ ছাড়া একটি বড় (সামরিক) বিমান রয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল।"
শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫
নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার;রাস্তার উপরেই বসে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী
নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে পার্ক স্ট্রিটে ব্যাপক উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পার্ক স্ট্রিট। শেষ পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিট মোড়েই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রাস্তার উপরে বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, শঙ্কর ঘোষ, অশোক দিন্দা সহ বিজেপি বিধায়করা।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পার্ক স্ট্রিট মোড়৷ নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাওড়া ময়দান, সাঁতরাগাছিতেও।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে নবান্ন অভিযানের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও দলীয় পতাকা ছাড়াই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারী শুরুতেই বলে দেন, যেখানেই তাঁকে আটকানো হবে, রাস্তার উপরে তিনি বসে পড়বেন। বিরোধী দলনেতার বিস্ফোরক অভিযোগ,'নির্যাতিতার বাবা-মাকে মারা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কদের মারা হয়েছে। অন্তত একশো জন এখানেই আহত হয়েছেন। আমাকে মারা হয়েছে। বাংলা বনাম মমতার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে।'
জয়েন্টে আইনি জট;সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। কলেজে ভর্তিতেও সেই জট বহাল। সমস্যার সুরাহায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে শুক্রবার জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর অন্য রকম কিছু বিবেচনা হতে পারে, এটা আমাদের ধারণায় ছিল না। আমরা দ্রুত আইনি পথে যাব। দেশের সর্ব্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের কাছে আবেদন করব। হয়তো শুক্রবারই মেনশন করা হবে।" শুক্রবার রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বেরিয়ে আসার পরে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "খুব দ্রুত এর নিষ্পত্তি হবে।"
শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫
বিজেপি কর্মী হত্যা মামলা; পরেশ পাল সহ ১৮ জনের নাম সিবিআই চার্জশিটে
নির্বাচনের মুখে বড় ধাক্কা! বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে বেলেঘাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ পালের নাম উল্লেখ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই এই মামলায় ১৮ জনের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে পরেশ পাল ছাড়াও রয়েছেন তৃণমূলের আরও দুই কাউন্সিলরের নাম। গত বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর দিনে নারকেলডাঙা এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকার। অভিযোগ ছিল, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের মদতে তার সঙ্গীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পরেশ পালের গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে আসছিল অভিজিৎ সরকারের পরিবার। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে বেশ কয়েকবার বিধায়ক পরেশ পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে এদিন চার্জশিটে তাঁর নাম রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কল্যাণের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অভিষেক! জটিলতা কাটল?
তৃণমূলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন দলের অন্যতম সিনিয়র সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার মুখ্যসচেতকের পদ থেকে কল্যাণের ইস্তফাপত্র একবারে গ্রহণ করে সম্ভবত শ্রীরামপুরের সাংসদকে কড়া বার্তাই দিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। কল্যাণের মানভঞ্জনের পথে না হেঁটে কল্যাণের পদত্যাগপত্র গ্রহণ তাই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। তবে, কল্যাণের সঙ্গে যে কথা বলবেন, সেই কথা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা পদে বসা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা অবশেষে হল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাহুলের নৈশভোজে যোগ দেওয়ার আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ একান্ত বৈঠক করেন অভিষেক। বৈঠক সম্পর্কে অবশ্য মুখ খোলেননি কল্যাণ। শুধু জানিয়েছেন,"খুবই সদর্থক আলোচনা হয়েছে শুধু এটুকু বলতে পারি। এর বাইরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে আর কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।"
বড় বিপাকে রাজ্যের এক মন্ত্রী? অনুমতি রাজ্যপালের; বাধা রইল না ইডি-র
বড়সড় বিপাকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইডি-কে অনুমতিদিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এ দিন খোদ রাজ্যপাল নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। রাজ্যপাল অনুমতি দেওয়ার ফলে এবার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারবে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল ইডি। মন্ত্রীর বীরভূমের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছিল তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১৬ থেকে ২০২১-এর মধ্যেই টাকা জমা পড়েছিল মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অ্যাকাউন্টে। মন্ত্রীর দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেহিসেবি প্রায় দেড় কোটি টাকার হদিশ মেলে বলে দাবি করেছিল ইডি। এর পাশাপাশি মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও নগদ চল্লিশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও মন্ত্রী কোনও ক্ষেত্রেই এই টাকার হিসেব বা আয়ের উৎস কী, তা জানাতে পারেননি বলে অভিযোগ ইডি-র। মন্ত্রীকে বেশ কয়েকবার তলব করে জেরাও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল এ দিন বলেন, 'ইডি ঘুষ নেওয়ার মামলায় ওনার বাড়িতে সঙ্গতিহীন অর্থ উদ্ধার করে। আমি সব নথি দেখেছি। আইনি পরামর্শ নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া অনুমতি দিয়েছি।'
বৃষ্টি চলবে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে!
বৃষ্টি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না! দেখতে দেখতে শ্রাবণ মাসের বাইশটি দিন হয়ে গেল। প্রতিদিনই বৃষ্টি তার দাপুটে উপস্থিতি জানান দিয়েছে বঙ্গজুড়ে। দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির ঝাপটা বেশি। কারণ, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। ফলে ভিজছে পাহাড়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি রয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা, যা ফিরোজপুর, চণ্ডীগড় হয়ে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হিমালয়ের পাদদেশ হয়ে আরও এগিয়েছে এবং উত্তর-পূর্ব অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মধ্য বাংলাদেশের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৪ কিলোমিটার ওপরে রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হেলে রয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।