গরমের ছুটি কাটিয়ে খুলেছিল স্কুলগুলি। স্কুলে শুরু হয়েছিল পঠন-পাঠন। তবে ফের গরম বাড়তে শুরু করে। যার জেরে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দুপুরের দিকে লু-বইছে। বীরভূম-বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার অবস্থা তো বলার মতো নয়। তীব্র গরমের জেরে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবরও প্রকাশ্যে আসছে। সেই কারণে রাজ্যের সব সরকারি স্কুল গুলিতে ফের একবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই কারণে আগামী ১৩ই জুন ও ১৪ই জুন রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা স্থগিত রাখা হবে। তবে পাহাড়ি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর নয়।
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫
গুজরাতে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু অন্তত ২০০ মানুষের!
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে টেক অফের খানিকক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। লন্ডনগামী এই উড়ানের দুর্ঘটনায় কমকরে ২০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ভয়াবহ দুর্ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে আপাতকালীন বার্তা 'মে'ডে কল' পাঠিয়েছিলেন পাইলট। পালটা এটিএস কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ নাগাদ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। টেক অফের খানিকক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে AI171 বিমান। ডিজিসিএর তরফে জানানো হয়েছে, বিমান চালানোর দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়াল। আহমেদাবাদ থেকে টেক অফের খানিক পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন ওই বিমানে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বিদেশি। ঘটনাস্থলে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। গান্ধীনগর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৯০ জন সদস্যকে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। ভদোদরা থেকে আরও ৯০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। উড়ান সংস্থার তরফেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীকে আহমেদাবাদ যেতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫
এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়মে বড় রদবদল! পড়ুন...
এই বছরই শেষ বার্ষিক প্রক্রিয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হল। এর পর থেকে সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে ছাত্র-ছাত্রীরা। একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে মোট চারটি সেমেস্টার। তার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের। চলতি বছরেই তৃতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ধাঁচে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন। চলতি সেমেস্টার থেকেই মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ রদবদল আনছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ওএমআর এর কার্বন কপি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়ে চলে যেতে পারবেন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় সেমিস্টার থেকেই ছাত্রছাত্রীরা ওএমআর এ পরীক্ষা দেবেন।
পাশাপাশি, ফলপ্রকাশের আগেই কোন বিষয় কত নম্বর পাচ্ছেন, সেই সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা পাবেন পড়ুয়ারা। প্রত্যেক পড়ুয়ার ওএমআর ওয়েবসাইটে আপলোড করারও পরিকল্পনা সংসদের। বিষয়ভিত্তিক প্রত্যেক পড়ুয়ার ওএমআর ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরের সেমেস্টার থেকেই এই পরিকল্পনা কার্যকরী করতে চলেছে সংসদ। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বললেন, "আমাদের আলোচনা এখন চূড়ান্ত স্তরে। খুব শীঘ্রই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেব।"
স্মার্ট মিটার নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের!
স্মার্ট মিটার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের। আগেই কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট মিটার বাধ্যতামূলক বলে নোটিফিকেশন জারি করে। সেই নোটিফিকেশনের প্রেক্ষিতে কাজ শুরু হয় রাজ্যে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দেখা যায় এতে। এর জেরেই রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, আর নয় স্মার্ট মিটার। এবার সেগুলো ব্যবহার হবে সাধারণ মিটারের মতোই। তিন মাস পরেই মেটানো যাবে বিল। প্রিপেড নয় পোস্ট পেইড ব্যবস্থা চালু। বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী।
বিভিন্ন সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, স্মার্ট মিটার নিয়ে কেন্দ্রের তরফে আগেই একটা নোটিফিকেশন জারি করেছিল। সেই মোতাবেক বিভিন্ন রাজ্যে কাজ শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫-৬ হাজার বাড়িতে এই স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়। যদিও বিভিন্ন স্থান থেকে এই নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আসতে শুরু করে। এবার রাজ্য জানিয়ে দেয় তারা স্মার্ট মিটার বসাবে না ডোমেস্টিক এরিয়ায়।
দক্ষিণবঙ্গে আজ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা!
ভ্যাপসা গরমে জেরবার গোটা দক্ষিণবঙ্গ। বর্ষা প্রবেশ করলেও গরম থেকে ছাড় নেই উত্তরবঙ্গে। পরিস্থিতি এতটাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর যে,পাহাড়েও ফ্যান এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালাতে হচ্ছে।
মৌসুমি বায়ু আচমকা দুর্বল হয়ে পড়ায় সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে সমতল কার্যত পুড়ছে । দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের কোনও ইঙ্গিত এখনও দিতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে ভ্রু কুচকানো পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলায়। গরম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ ছুটছে দার্জিলিং এবং তৎপ্বার্শবর্তী অঞ্চলে। কিন্তু সেখানকার তাপমাত্রাও চোখ কপালে তোলার মত।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হলুদ সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস।
দেশজুড়ে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৭ হাজার!
দেশেজুড়ে ফের করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ছুঁইছুঁই। উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর মধ্যে কেরল, কর্নাটক, গুজরাট এবং দিল্লিতে হু হু করে বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। তবে কর্নাটক, গুজরাট এবং কেরলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। রাজ্যভিত্তিক হিসাব দেখলে, কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৬ জন, গুজরাটে ১২৯ এবং কেরলে ৯৬ জন। তবে অরুণাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে নতুন করে সংক্রমণের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
মহুয়ার আপত্তিতে সায়;কল্যাণকে কালীগঞ্জে প্রচারে যেতে মানা করলেন মমতা
দু-জনেই তৃণমূলের হেভ-ওয়েট সাংসদ। কিন্তু, তাঁদের বিবাদ নানা সময় সামনে এসেছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহুয়া মৈত্রের সেই দ্বন্দ্ব যে অব্যাহত, তা ফের সামনে এল নদিয়া কালীগঞ্জের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের দুই সাংসদের 'ঝগড়া' এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচারে যেতে পারছেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, মহুয়া মৈত্র চান না কল্যাণ প্রচারে আসুন। মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিষয়টি আসে।
মঙ্গলবার বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভায় নিজের ঘরে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা চলছিল নানা বিষয়ে। ঘটনাক্রমে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে উপস্থিত ছিলেন। নানা কথার মাঝখানে কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ আসে। সূত্রের দাবি, সেইসময় কল্যাণ বলেন, তিনি কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে প্রচারে যেতে চান। কিন্তু মহুয়ার 'ভেটো'-তে যেতে পারছেন না তিনি।
সূত্রের দাবি, কল্যাণের বক্তব্য শোনার পর নাকি মুখ্যমন্ত্রী আইপ্যাকে ফোন করেন। এবং ফোনে যাবতীয় আপডেট নেন। এরপরই কল্যাণকে প্রচারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানান। প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জ বিধানসভা যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। আবার তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও তিনি।