পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টির আশঙ্কায় রয়েছে বাঙালি। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুজোর সময় কলকাতায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সপ্তমীর দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর পুজোর দিনগুলির মধ্যে আনুপাতিক হারে বেশি বৃষ্টি হবে।
পুজোর দিনগুলিতে বৃষ্টির আশঙ্কায় রয়েছে বাঙালি। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুজোর সময় কলকাতায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সপ্তমীর দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর পুজোর দিনগুলির মধ্যে আনুপাতিক হারে বেশি বৃষ্টি হবে।
এসএসসি নিয়োগ মামলায় ফের নয়া মোড়। বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি আদালতের। ৯ নভেম্বরের মধ্যে অসদুপায়ে চাকরি পাওয়া চাকুরেদের নিজে থেকে পদত্যাগ করার সুযোগ দিচ্ছে আদালত।
উৎসবের মুখেই মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বাড়াল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বুধবার মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ৩৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৮ শতাংশ করার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতেই বেতন বা পেনশনের সঙ্গে এই ভাতা দেওয়া। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের লেবার ব্যুরো এর পরিমাণ নির্ধারণ করে।
ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এগিয়েছে অনেকটাই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এবার সেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বুধবার আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। কতজন অযোগ্য প্রার্থী চাকরি করছেন? সেই তালিকা চাওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর কাছে।
১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা ও দিল্লিতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। একজন কর্মীর বাড়ি থেকে তিনটি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়। নবম ও দশমের নিয়োগ মামলায় ৯০৭ জনের ওএমআর শিট জালিয়াতি করা হয়েছে। হার্ড ডিস্ক থেকে যে তথ্যা পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যাঁরা শূন্য, এক বা দুই পেয়েছেন, এসএসসি-র খাতায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের প্রাপ্তি ৫০, ৫৩ ইত্যাদি। সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন প্রার্থীদের নামের পাশেও বসেছে ৫৩ নম্বর। এসএসসি-র সার্ভারে সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। গ্রুপ ডি নিয়োগে ২ হাজার ৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। সার্ভার থেকে জানা গিয়েছে, গ্রুপ সি-কে ৩ হাজার ৪৮১ জনের নম্বর বদল হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, ধৃতরা মুখ খুলতে চাননি। কারণ তাঁরা জানেন সিবিআই থার্ড ডিগ্রি ব্যবহার করে না। এমনকী একজন ভয়েস স্যাম্পেল দিতেও রাজি হননি।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের পর সেই প্রকল্প চালুও হেছে রাজ্যে। এবার সেই প্রকল্প নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প 'জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩'-র পরিপন্থী বলে দাবি করল কলকাতা হাইকোর্ট। রেশন ডিলারদের করা একটি মামলায় এমনটাই বলেছে আদালত।
প্রকল্পের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন রেশন ডিলার।
প্রথমে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে আবেদন করেছিলেন রেশন ডিলারদের একাংশ। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করার আবেদন জানানো হয়েছিল। মামলাকারীর তরফে দাবি করা হয়েছিল, কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিতরণ করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে, নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও রয়েছে কেন্দ্রেরই। মামলায় যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কোনও ক্ষমতা অর্পণ করেনি। তা সত্ত্বেও রাজ্য প্রকল্প চালু করেছে।
কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প বেআইনি নয়। ফলে স্বস্তি পায় রাজ্য। এরপর মামলাকারীরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। তাতেই এবার ফের অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের।
এই রায় প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'এটা সবার জানা উচিত, দিল্লির সরকার আগেই দুয়ারে রেশন চালু করেছে। পশ্চিমবঙ্গই প্রথম নয়। রাজ্যের মানুষের সুবিধার জন্যই রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছিল। আমি আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত নই।'
সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের বেশকিছু অভিযোগ নিয়ে বারবারই সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেটি হল, সুদীপ্ত সেন বিভিন্ন সময়ে টাকা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এমনকি তিনি সেকথা চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছেন। বর্তমানে সারদা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
আদালতে মামলাকারী সওয়াল করেন, সারদা মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই অবস্থায় আরও একটি সমান্তরাল তদন্ত হয় কীভাবে? অর্থাৎ কাঁথি থানার পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করে কীভাবে? ওই কথা শোনার পর আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় কাঁথি থানার পুলিশ ওই অভিযোগের তদন্ত করতে পারে।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল বারবারই বলে এসেছে সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম সিবিআই তার নথিতে রেখেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হচ্ছে না। এছর জুন মাসে চিঠি লিখে সুদীপ্ত সেন জানান শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি আদালতে হাজিরা দিতে এসেও তিনি একই কথা বলেছেন।
শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচই আপাতত হাতিয়ার মানিক ভট্টাচার্যের। আর সেই ঢালকে কাজে লাগিয়েই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। সিবিআই সূত্রে পাওয়া খবর, মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছন তাঁর আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিল দু-পাতার একটা চিঠি। ওই চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে বুধবার দুপুর ২টোয়। তাই আপাতত দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আর সে কারণে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।