নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। ২০১৭ সালের টেটের প্রশ্নে আদৌ ভুল ছিল? জানতে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এক মাসের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তথ্য জানান; প্রধানশিক্ষকদের নির্দেশ
এসএসসি-র ২০১৬ সালের শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের প্যানেল কলকাতা হাই কোর্ট পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়ায় অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্কুল শিক্ষা দফতরের একটা বড় অংশ। তাই ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগদানের যাবতীয় তথ্য জানার কাজ শুরু হল। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা (ডিআই) স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে।
যদিও শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, যে হেতু এসএসসি ইতিমধ্যে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই এখনই তাদের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের যোগদান সংক্রান্ত তথ্য প্রয়োজন হচ্ছে না। কিন্তু শিক্ষা দফতরের আরও একটি সূত্র জানাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে কর্মহীন হয়ে যাওয়া শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের যাবতীয় তথ্য জেলার ডিআইরা সংগ্রহ করে রাখছেন। প্রয়োজনে এই সমস্ত তথ্য কাজে লাগানো হবে। আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ না দেওয়া হলেও, এই তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডিআইদের ভূমিকার পিছনে মৌন সম্মতি রয়েছে দফতরের। যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেই সংক্রান্ত তথ্য শিক্ষা দফতরের প্রয়োজন হলে তা দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়। আপাতত এসএসসি-র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার দিকেই নজর রাখছে শিক্ষা দফতর। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দিতে নারাজ দফতরের শীর্ষকর্তারা
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
কী করে চলবে ক্লাস? একাধিক প্রশ্ন
কারা স্কুলে থাকবেন? কারাই বা পড়াবেন? পঠনপাঠন ছাড়া স্কুলের অন্যান্য কাজকর্মই বা চলবে কী করে? সোমবার এসএসসি মামলায় হাই কোর্টের রায়ের পর স্কুলে স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পড়ুয়া ও অভিভাবক মহলে এই প্রশ্নগুলিই মাথাচাড়া দিচ্ছে। ২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা যে সব স্কুল নিযুক্ত রয়েছেন, সেখানে প্রশ্নগুলি আরও প্রকট। এদিন থেকে সরকার অধীনস্থ স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে।
ফের পরীক্ষয় বসতে হবে প্রত্যেক চাকরিহারাকেই! পড়ুন
এসএসসির চাকরি ফিরে পেতে প্রত্যেক চাকরিহারাকেই নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে? না কি ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমেই পূরণ করা হবে হাই কোর্টের নির্দেশে খালি হওয়া এসএসসির শূন্যপদগুলি। সোমবারের রায়ের পরে এই নিয়েই শুরু হয়েছে নানা ব্যাখ্যা। মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশের মতে, এসএসসির গ্ৰুপ-ডি, গ্ৰুপ-সি এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে সব চাকরিহারাকেই আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। অর্থাৎ, তেমনটা হলে নতুন করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে থেকে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ-সহ সব পদ্ধতি মেনেই নতুন করে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যদিও এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে আইনজীবীদের একাংশের। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে।
নিয়ম মেনে এসএসসি-কে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর করার জন্য হাই কোর্ট নির্দেশ দিলেও সেই ‘নিয়মের’ ব্যাখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে আইনজীবীদের মধ্যে। একাংশের মতে হাই কোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ-সহ পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়াই নতুন করে করতে হবে। অন্য পক্ষের মতে, ২৮২ পাতার কোথাও গোটা প্রক্রিয়া নতুন করে আয়োজনের কথা বলা নেই। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর স্বীকার করে নিচ্ছেন, ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের আসল কপি বা 'মিরর ইমেজ' পাওয়া না-গেলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
ভাঙড়ে নওশাদের সভায় চেয়ারই ভরাতে পারল না আইএসএফ!
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর ভাঙড়ে প্রথম সভা আইএসএফের। এদিনের সভা ঘিরে বিরাট ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁবু খাটানো হয়েছিল। চেয়ার রাখা হয়েছিল সাজিয়ে। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু এ কী অবস্থা! বসার আসনই পুরো ভর্তি হল না নওশাদদের সভায়। ফাঁকা পরে থাকতে দেখা গেল অনেক চেয়ার। মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকায় আইএসএফের সভায় ধরা পড়ল এমনই দৃশ্য। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। নুর আলম খানকে প্রার্থী করেছে নওশাদদের দল।
কলকাতা ফের ৪০ ছাড়াবে; শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে
দু-দিনের স্বস্তি আবার বদলে যাবে অস্বস্তিতে! আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী তিন দিনে দক্ষিণের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা।
২৬ হাজার চাকরি বাতিল!'স্কুলে কি বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা পড়াবে?' এসএসসি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী
প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তার বিরোধিতায় রাজ্য সরকার যতদূর সম্ভব আইনি লড়াই চালাবে বলে ফের জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, এত শিক্ষকের একসঙ্গে চাকরি চলে গেলে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কীভাবে চলবে?মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন?
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি রায়দান সম্পর্কে বলছি। বিচারপতির নাম বলছি না, প্রয়োজন পড়ে না৷ বলতে পারত, এখানে ভুল আছে সংশোধন করে দিন। সবটা তো আমি করি না। শিক্ষা দফতর, প্রাইমারি বোর্ড, মাধ্যমিক বোর্ড, এসএসসি, কলেজ সার্ভিস সব আলাদা আলাদা। একতরফা রায় দিয়ে একসঙ্গে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন।