একটি অর্থ তছরুপের মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কানওয়ারদীপ সিংহ (যিনি কেডি সিংহ নামেই সমধিক পরিচিত)-এর পুত্রের ১২৭ কোটি টাকার অংশীদারি বাজেয়াপ্ত (অ্যাটাচ) করল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বুধবার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হরিয়ানার পঞ্চকুলায় দু'টি হাসপাতালে ১২৭ কোটি টাকারও বেশি অংশদারী রয়েছে কেডি সিংহের পুত্র করণদীপ সিংহের মালিকানাধীন সংস্থা সোরাস অ্যাগ্রিটেক প্রাইভেট লিমিটেডের। ২০০২ সালের অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-তে ওই অংশীদারিত্ব বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, একটি হাসপাতালে করণদীপের ৪০.৯৪ শতাংশ, অপর হাসপাতালে ৩৭.২৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছিল। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে হওয়া এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছিল কলকাতা পুলিশের করা একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে। পরে এই বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই এবং লখনউয়ের দুর্নীতিদমন শাখাও। একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় 'অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ প্রাইভেট লিমিটেড' এবং 'অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলিটি লিমিটেড' নামক সংস্থার ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কেডি সিংহও।
তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে জানানো হয়েছে, বিনিয়োগ করা অর্থের দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা এবং জমি-ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে টাকা তোলা হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে যে, এই ভাবে ১,৮৪৮ কোটি টাকা তুলে তা নয়ছয় করা হয়। 'অ্যালকেমিস্ট' গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় এই টাকার একাংশ বিনিয়োগ করা হয় বলেও তদন্তে উঠে আসে। ওই সংস্থাগুলির মধ্য পঞ্চকুলার ওই দুই হাসপাতাল ছিল বলেও ইডি সূত্রে খবর। এই মামলাতেই ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয় কেডিকে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ২৩৮ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (অ্যাটাচ) করেছে ইডি। বৃহত্তর আর্থিক তছরুপের কিনারা করতে এ বার অভিযুক্তদের অন্যান্য সম্পত্তির উপরেও নজর রাখছেন তদন্তকারীরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন