বোলপুরের আইসিকে কুকথা বলায় আগেই বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তার রেশ কাটতে না-কাটতেই এ বার কেষ্টর নিশানায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। তৃণমূল নেতা বললেন, "বীরভূম জেলায় এই ধরনের সংস্কৃতি আগে ছিল না। আমি মনে করি, এই পুলিশ সুপার আসার পর থেকেই এমন সংস্কৃতি শুরু হয়েছে।" ঘটনাচক্রে, এ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সিউড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে কালি লাগানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘাতও বাধে। এর পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ অনুব্রত। তিনি বলেন, "আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কালি লাগাচ্ছে। সেখান থেকে এসপি অফিস হচ্ছে কুড়ি হাত দূরে। উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?"
এর পরে অনুব্রত আরও বলেন, "আমরা আগে বিরোধী দলে ছিলাম। আমরা কোনও দিন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা কারও ছবিতে কালি লাগাইনি। আমরা বিজেপির কোনও ছবিতে কালি লাগাই না। এটা ভদ্রতা নয়। এই ধরনের পুলিশ সুপার থাকলে এই ধরনের নোংরামিই হবে!" মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগানোর ঘটনার পরেই তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি নেতারা। প্রকাশ্যে বচসা এবং ধাক্কাধাক্কিও হয় বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ও সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। ধ্রুব-সহ একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীদের চ্যাংদোলা করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় ধ্রুবকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধ্রুব-সহ বিজেপির মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন