ডিএ দিতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চের শুনানিতে আরও একবার স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার। আজ, মঙ্গলবার শুনানির শুরু থেকেই DA কি আদৌ সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার, তা নিয়ে সওয়াল-জবাব শুরু হয় সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী ও রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের তরফে। রাজ্যের যুক্তি কর্মচারীদের ডিএ মৌলিক অধিকারের আইনি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু শুনানি চলাকালীন তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, 'আপনারা যে কোনও পরিমাণ DA দিতে পারেন। কিন্তু প্লিজ দিন। আপনার ক্লায়েন্টকে (রাজ্য সরকার) বলুন।' এদিন ডিএ মামলার শুনানিতে আরও একবার উঠে এল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ। রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন,"ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের আর্থিক অবস্থার দিকেও নজর রাখতে হবে। কোভিড হয়েছে।মনরেগার টাকা কেন্দ্রর থেকে এখনও পাওয়া যায়নি। সেই টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হয়।" রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল করেন, " রাজ্য কোথা থেকে টাকা দেবে? রাজ্যকে ধার করতে হবে। রাজ্যকে তার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে যেতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ পাওয়ার ক্ষমতা দেখে আমাদের ঋণ দেবে। তারপর আমাদের বিধানসভায় অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল আনতে হবে। তারপর টাকা দেওয়া হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ।" রাজ্যের যুক্তি,ট্রাইবুনাল বলে দিতে পারে না কেন্দ্রীয় ইনডেক্স মেনে টাকা দিতে হবে। এরপরই বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে স্মরণ করিয়ে দেন, "এই মামলায় যে রায় দেওয়া হবে, তা সব রাজ্যকে প্রভাবিত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাঠামোর ক্ষেত্রে এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।" বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্র বলেন,"যে রাজ্যগুলি ‘All India Consumer Price Index’ অর্থাৎ যে ফর্মুলা কেন্দ্রীয় সরকার মেনে চলে, তা মানে না, তাদেরকে প্রভাবিত করতে পারে।" তবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল স্পষ্টভাবে এদিন এটাও বুঝিয়ে দেন, রাজ্য সরকারকে কেউ ঋণ নিতে বাধ্য করতে পারে না। মঙ্গলবারের শুনানিতে, রাজ্যের আইনজীবী সওয়াল করেছেন। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি। বুধবার সওয়াল করবেন সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন