সংসদীয় দলের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতকের পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীরামপুরের সাংসদের এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের অন্দরে রীতিমতো ঝড় উঠেছে। কেন কল্যাণ মুখ্যসচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই কল্যাণের এই সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।
কেন তিনি পদ ছাড়লেন, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন কল্যাণ নিজেই। শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, 'মমতাদি অভিযোগ করেছেন লোকসভায় সমন্বয় ঠিক মতো হচ্ছে না, ফলে আঙুল তো আমার দিকে তোলা হচ্ছে। তাই আমি এই পদ ছেড়ে দিলাম। শুধু তাই নয়, কল্যাণ অভিযোগের সুরে আরও বলেন, দিদি বলছেন ঝগড়া করছে৷ যাঁরা আমাকে গালাগাল দেয় আমি কি সহ্য করব? দলকে জানিয়েছি, দল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে উল্টে আমাকেই দোষারোপ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল ভারে দল চালাক। লোকসভায় ভাল করে দল চলুক।' তিনি যে মহুয়া মৈত্রের করা মন্তব্যের ক্ষুব্ধ এবং দল ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ, তা গোপন করেননি কল্যাণ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন