কলকাতা নিউজ ব্যুরো: প্রায় এক যুগ পরে আপার প্রাইমারির ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি। ভেরিফিকেশনের দিন ঘোষণা করেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশ অনুসারে ১০% সংরক্ষিত আসন বাদ দিয়ে আপার প্রাইমারির মোট শূন্য পদ ১৩০৮০ টি।
অনেক বছর পরে আপার প্রাইমারির ভেরিফিকেশনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। এরি মধ্যে শূন্য পদ বাড়ানোর যুক্তি খাড়া করে আদালতে যাবার তোরজোড় শুরু করে দিল হবু মাস্টাররা। এই রকম ভাবে হবু শিক্ষকরা যদি শূন্য পদের দাবি জানাতে শুরু করেন এবং আদালতের দ্বারস্থ হন তাহলে আবারও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে।
এমনটাই মনে করেন হবু শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
এই প্রসঙ্গে এক হবু শিক্ষক আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, "আপারে সব শেষে নিয়োগ হলে বেশি প্রার্থী চাকরি পেতেন। শুধুমাত্র এই লোভ দেখিয়ে আমাদের আপার প্রাইমারীর নিয়োগকে এতদিন ধরে পিছিয়ে কমিশন। আর এখন নিয়োগের সময় কোনোরকম সিট আপ ডেট না করে সেই আগের পূরানো ভ্যাকান্সিতে নিয়োগ করতে চাইছে কমিশন। অথচ কমিশনের গেজেট অনুযায়ী বলা আছে ইন্টারর্ভিউ এর ১৫ দিন আগে পর্যন্ত যতগুলো সিট ফাঁকা হবে সব সিটেই নিয়োগ করা হবে।
এতদিন ধরে নিয়োগের অপেক্ষা করে আজকে এই বঞ্চনা মেনে নেওয়া যাবে না। তাই আমরা অর্থাৎ আপার প্রাইমারীর বঞ্চিত প্রার্থীরা ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছি। আপার প্রাইমারীর প্রথম ফেজে কতজন কে ডাকা হয়েছে এবং কোন বিষয়ে কত কাট অফ মার্কস তাও কমিশন আমাদের না জানিয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছে । এবার তাই আপার এর কাট-অফ মার্কস সহ PDF ও আপডেট সিটের জন্য খুব শীঘ্রই কয়ের হাজার বঞ্চিত প্রার্থী আদালতে মামলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে।" আর তাই ওই সব হবু শিক্ষকদের এখন ভরসা আদালত। আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ।"
এটা ঠিক যে কমিশন ও রাজ্য সরকার পরিকল্পনা-মাফিক আপারের পরীক্ষার্থীদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। যেটা একটা দায়িত্বশীল সরকারের কাজ নয়। শুধু রাজ্যের কয়েক হাজার হবু শিক্ষকদের ভোটের অংশ হিসাবে ভেবে এসেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। তাদের সমস্যা সমাধানে মানবিক দৃষ্টিতে দেখেনি কোনও দিন।
পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এটা পরিষ্কার তারা তাদের দাবি আদায় করতে আদালতে যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে কলকাতা নিউজ ডট অনলাইনের প্রতিনিধি কথা বলেছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে। আইনজীবীদের মতে, এই ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকানো প্রায় অসম্ভব। তাই যেসব পরীক্ষার্থীরা মনে করছেন আদালতে গেলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, সেটা বাস্তবে নাও হতে পারে। তাই চলতি মাসের ২৯ তারিখ ভেরিফিকেশন যে হচ্ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন