স্কুল গুলিতে শূন্যপদ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের বিশেষ উদ্যোগ কমিশনের!

রাজ্যের স্কুল গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আছে বহু অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির কমিশনের দিকে। পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ  রাজ্যের স্কুল গুলিতে শূন্যপদের সংখ্যাও প্রচুর। আর এবার থেকে সেই শূন্যপদ জানার জন্য নতুন অ্যাপ চালু করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। একদিকে যেমন আর সময় নষ্ট হবে না, তেমনই কাজের চাপ কমবে ডিআই অফিসের।

আবার প্রকৃত শূন্যপদের তথ্যও সহজেই জানা যাবে। কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার -কে দিয়ে এই অ্যাপ তৈরি করাচ্ছে দফতর। স্কুলশিক্ষার অফিশিয়াল পোর্টাল বাংলার শিক্ষা-কে ভিত্তি করেই এই অ্যাপটি কাজ করবে। তবে, পুরো বিষয়টাই এখনও আলোচনার পরীক্ষার স্তরে আছে।

আগের নিয়ম অনুসারে, কোনও স্কুল শিক্ষক অবসর নিলে সেটা পরিচালন সমিতির মাধ্যমে ডিআই অফিসে জানাতে হয়। ডিআই অফিস থেকে সেই শূন্যপদের হিসেব যায় দফতরে। তারপর সেখান থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে পৌঁছে যায় সেই হিসেব। সেই অনুযায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। আবার, কোনও স্কুলে হঠাৎ পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যা বেড়ে গেলেও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ঠিক রাখার জন্য নতুন শিক্ষক পদ তৈরি করা হয়।

একই পদ্ধতিতে তার হিসেব আসে শিক্ষা দফতরের কাছে। এই চলে আসা পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ। এর পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কিছু শূন্যপদ হিসেবের বাইরে থেকে যাচ্ছে। তার উপর স্পেশাল ট্রান্সফার চালু হওয়ার পর বেশ কিছু শূন্যপদ লুকিয়ে রাখার প্রবণতা শুরু হয় শিক্ষা দফতর এবং ডিআইদের মধ্যে। ভিআইপি লেবেল থেকে সুপারিশ এলে তার ভিত্তিতে ওই শূন্যপদগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, নিয়োগের পরও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের সমস্যা মিটছে না। তার মূল কারণ, যে ভ্যাকান্সির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয়, তাতে অনেক পদই হিসেবের বাইরে থেকে যায়। শেষ পর্যন্ত যে পদে নিয়োগ হয়, তা প্রকৃত ভ্যাকান্সির চেয়ে আরও অনেকটাই কম। এই নতুন নিয়ম চালু হলে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক জটিলতা এড়িয়ে চলা যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

Loading...