আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা এবার সত্যি হতে চলেছে। আপার প্রাইমারির ভবিষ্যৎ ফের আইনি জালে জড়িয়ে গেল। অভিযোগ, আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউ লিস্ট অসম্পূর্ণ। ১০ জুলাই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সম্পূর্ণ লিস্ট প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আজ আপার প্রাইমারি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমন নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট আপার প্রাইমারির পরীক্ষা নেয় কমিশন। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়। এরপর ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের জন্য সফল প্রার্থীদের ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরীক্ষায় যারা পাশ করেন তাঁদের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী প্রশিক্ষিত এবং ১ লাখের বেশি ছিলেন অপ্রশিক্ষিত। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২ জুলাই। কিন্তু এরই মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ১ জুলাই বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য বলেন, "স্কুল সার্ভিস কমিশন বলছে তারা ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করেছে। মামলাকারীদের আইনজীবী বলছেন, প্রকাশ করা হয়নি।
আমি এটা বুঝব কী করে ? স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আগামীকাল সমস্ত নথিপত্র নিয়ে আসবেন। আগামীকাল আবার শুনানি হবে। আগামীকাল (২ জুলাই) থেকে আপার প্রাইমারিতে পার্সোনালিটি টেস্ট শুরু হলেও তার ফলপ্রকাশ করা যাবে না।" আজ এই মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সতনু পাত্র হাইকোর্টে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জামা দেন। ওই জমাদেওয়া নথিপত্রে দেখা যায় সেই লিস্টে প্রার্থীদের নম্বর দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে সুতনুবাবু বলেন, "প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার কাজ চলছে, এটা এখনও মাঝপথে রয়েছে। এই অবস্থায় আমরা প্রার্থীদের নম্বর জানাতে পারি না।" তখন বিচারপতি বলেন,"কেন ? কিসের জন্য আটকাচ্ছে ?" এরপর মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, "কিসের মাঝপথ ? পুরো প্রক্রিয়ায় আমরা স্বচ্ছতা চাই। যে ইন্টারভিউ লিস্টের ভিত্তিতে পার্সোনালিটি টেস্ট হচ্ছে, সেই লিস্টের বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কেন জানতে পারব না ? হাজার হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী ভেরিফিকেশনে ডাক পাননি।"এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, ১০ জুলাই সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই আপার প্রাইমারির মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুলাই। আর ওই দিন আদালত কি নির্দেশ দেন তার উপর ঝুলে থাকল পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন