বামফ্রন্ট আমলে জেলা তথা রাজ্যের হেভি-ওয়েট বাম নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রীর দাপটও কম ছিল না বাম আমলে। এক কথায় বললে তিনিই ছিলেন গড়বেতা ও আশেপাশের এলাকায় শেষ কথা। তাঁর ব্যাপক প্রভাব ছিল জেলা এবং রাজ্য কমিটিতেও। পালাবদলের পর, সেই সুশান্ত ঘোষকেই দীর্ঘদিন কাটাতে হয়েছে জেলে। গড়বেতা দাসেরবাঁধ কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়িয়ে পড়ায় গ্রেফতার হন তিনি।
বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। যদিও আদালতের নির্দেশে তার জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই রকম এক হেভি-ওয়েট নেতাকে শোকজের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিপিআই(এম)। অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই জেলার কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে তিনি পাশের জেলা বাঁকুড়ায় এক বৈঠক করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে উপদলীয় কাজকর্মে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার খোদ দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং বর্ষীয়ান নেতা রবীন দেবের উপস্থিতিতে শোকজের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছেন জেলা সম্পাদক তরুণ রায়। হাত তুলে সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন জেলার আরও কিছু নেতা। যদিও এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তরুণ-বাবু ও সুশান্ত ঘোষ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন