নয়া বেতন-ক্রম চালু হলেও বঞ্চিত হবেন বহু শিক্ষক! পড়ুন

শিক্ষকদের আন্দোলনের কাছে কার্যত হার মেনে নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। এই বেতন বাড়ানোর ফলে বেশ খুশি রাজ্যের স্কুল গুলিতে কর্মরত শিক্ষকরা। কিন্তু নতুন করে আর এক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এই বেতন বৃদ্ধির পরেও প্রাথমিক শিক্ষকরা সমান হারে বেতন পাবেন না।

কোনও শিক্ষকের ক্ষেত্রে বেতন বাড়বে ৫ হাজার টাকার উপরে , আবার কোনও শিক্ষকের বেতন বাড়বে ২ হাজার টাকার উপরে। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য বজায় থাকছে। এই বৈষম্য যাতে না হয় তার জন্য পে-প্রটেকশন চালু করার দাবি নিয়ে এবার রাস্তায় নামতে চলেছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
 রাজ্য সরকার গত মাসের ২৬ তারিখ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সেখানে বলা হয়েছিল, ' প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের গ্রেড-পে ২৬০০ থেকে বেড়ে ৩৬০০ এবং পে-ব্যান্ড-৩ অর্থাৎ বেতন-ক্রম ৭১০০-৩৬৭০০ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ-হীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গ্রেড-পে ২৩০০ থেকে বেড়ে ২৯০০ এবং পে-ব্যান্ড-২ অর্থাৎ বেতন-ক্রম ৫৪০০-২৫২০০ করা হয়েছে। এর ফলে প্রশিক্ষণ-হীনদের গ্রেড-পে কিছুটা বাড়লেও পে-ব্যান্ড-২ থাকায় তাঁরা পূর্বতন বেতন-ক্রমেই থেকে যাচ্ছেন। গ্রেড-পে বাড়ার ফলে প্রশিক্ষণ-হীন পুরানো প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন আড়াই হাজার টাকা বাড়তে পারে। কর্মরত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পে-ব্যান্ড-২ থেকে পে-ব্যান্ড-৩ হওয়ায় তাঁদের সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার বেশি বেতন বাড়তে চলেছে।

এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত নেতা সমর চক্রবর্তী বলেছেন, নতুন বেতন-ক্রম চালু হলেও দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা শিক্ষকতা করছেন তাঁরা বেতন বঞ্চনার শিকার হবেন। তাঁদের পে-প্রটেকশন দিয়ে সব প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন-ক্রমে সমতা থাকা উচিত।

Loading...