তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তৃণমূলের কাছের নেতা। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
হারের আতঙ্কে ভুগছিল তৃণমূল। সেই সাথে একই প্রতিকূলতায় ছিলেন দল-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই কারণে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস করা হয়েছিল এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
নিজে যে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সেই দল এবং দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন মদন মিত্র।
রাজ্যের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। মনোনয়ন জমা-দেওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন এবং তার পরে ফল ঘোষণা, সবক্ষেত্রেই উঠেছিল বহু অভিযোগ। তৃণমূল নেতাদের বিভিন্ন অনিয়মের ছবি ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। সব থেকে বেশি বিতর্ক হয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে। নির্বাচনের পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। বহু মানুষের প্রাণ পর্যন্ত হারাতে হয়। এমন সব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে এই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের এই সব অভিযোগ মেনে নিয়েছেন মদন মিত্র। তিনি বলেছেন, "মমতা বুঝতে পেরেছিলেন যে ভোট হলে হেরে যাবেন। সেই কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা করানো হয়েছিল।" সেই কারণেই প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।" তিনি আরও বলেছেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে প্রায় ১৫০ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। পরের হিসব ধরলে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।"
মদন বাবুর এই সব বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে রিপাবলিক টিভিতে। কলকাতা নিউজ ডট অনলাইনের প্রতিনিধিরা সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে নি।
যদিও মদন মিত্র এই প্রসঙ্গে রিপাবলিক টিভির যে সাংবাদিক এই স্টিং অপারেশন করেছেন তাকে চোর বলে আক্রমণ করেছেন।
যদিও মদন মিত্রের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, মদন মিত্র কি দল বদলাতে চলেছেন? তিনি কি বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন? যদিও মদন মিত্র জানিয়েছেন, "আমি তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ সৈনিক। তৃণমূলে ছিলাম, আছি এবং থাকব।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন