স্বামীকে খুন করে চাকরি পাবেন। বোনাস হিসাবে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েও করবেন। এমন চক্রান্ত করেছিলেন স্ত্রী। ডায়মন্ড হারবারের স্টেশন মাস্টার খুনের তদন্তে নেমে অবশেষে নিহতের স্ত্রী ও প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে এই খুনের কিনারা করে পুলিশ। আজ জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে জানিয়ে দিলেন, খুনের ছক কেন করা হয়ে ছিল!
পুলিশের অনুমান অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই খুন।
পুলিশ সুপারের কথায়, নিহত স্টেশন মাস্টারের স্ত্রী সোনালি কুমারের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিহারের বাসিন্দা আরশাদ জলিলের। কিন্তু বাড়ি থেকে জোর করে সোনালির বিয়ে দেওয়া হয় ভাগলপুরের বাসিন্দা পেশায় স্টেশন মাস্টার নির্মল কুমারের সঙ্গে। এরপর থেকেই সোনালী ও আরশাদ খুনের পরিকল্পনা করে। এই কথা জেরায় স্বীকার করেছে ওই প্রেমিক যুগল। কিছু দিন আগে বিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার আসেন আরশাদ। পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন সোনালীর সঙ্গে। পরে পরিকল্পনা-মতো শনিবার রাতে নির্মল কুমার যখন ঘুমচ্ছিলেন, তখনই ঘরে ঢোকে আরশাদ। এরপর দুজনে মিলে গলা টিপে খুন করে নির্মল কুমারকে। পরে পরিকল্পনা মাফিক রাতেই দেহ ফেলে আসে স্টেশনের পাশে নর্দমায়। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার হয়ে যায় খুনের ঘটনা। এরপরই আটক করে জেরা করা হয় সোনালিকে। তাঁর মোবাইল নম্বর থেকেই আরশাদের কথা জানতে পারে পুলিশ। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন সোনালি। স্বীকার করে নেয় খুনের কথা। বিহারে পালানোর আগেই পুলিশ গ্রেফতার করে আরশাদকে। প্রেমিক যুগলকেই শুক্রবার আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশের অনুমান অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই খুন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন