খাতায়কলমে গত প্রায় নয় বছর ধরে জেলায় ৩১০টি আপার প্রাইমারি স্কুল। কিন্তু শিক্ষকের অভাবে কোচবিহারে এখনও চালুই হয়নি প্রায় ৫০টির বেশি স্কুল। স্কুলগুলি কবে চালু হবে কিংবা আদৌ চালু হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তবে শুধু স্কুল চালু করতে না পারাই নয়, যে স্কুলগুলি চালু রয়েছে, সেই স্কুলগুলিতেও প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা কম। এতে যে উদ্দেশ্যে স্কুলগুলি গড়া হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্য মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকেদের। অভিযোগ, এর জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। মার খাচ্ছে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা। যদিও বাকি স্কুলগুলি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে চালুর আশ্বাস দিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর।
কোচবিহার জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ২৬৮টি স্কুল রয়েছে। প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ১৮৫৩টি। এর ফলে প্রাথমিকের পর হাইস্কুলে পড়ার জন্য জেলার বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের প্রচুর পড়ুয়া বাড়ির থেকে অনেকটা দূরে যেতে হয়। এতে অনেকে ড্রপ আউট হয়ে যায়। ড্রপ আউট বন্ধে শিক্ষার অধিকার আইনে বলা রয়েছে, বাড়ি থেকে যাতে এক কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে লেখাপড়া করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
সেই নিয়ম মেনে কোচবিহারে ২০১১ সালে রাজ্য সরকার ৩১০টি আপার প্রাইমারি স্কুল চালুর করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। খাতায়কলমে বর্তমানে জেলায় ৩১০টি আপার প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষকের অভাবে জেলায় ৪৯টি স্কুল চালুই করতে পারেনি শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি বাকি যে স্কুলগুলি চালু রয়েছে, সেগুলিতে প্রধান শিক্ষক সহ ছয় শিক্ষক ও একজন করে গ্রুপ-ডি কর্মী থাকার কথা। কিন্তু এর মধ্যে অধিকাংশ স্কুলেই দুজন করে শিক্ষক আছেন। আবার কোনও স্কুলে তাও নেই। আবার কোনও স্কুলে স্থায়ী শিক্ষকই নেই। যদিও শিক্ষাদফতর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।
কোচবিহার জেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক মিলিয়ে মোট ২৬৮টি স্কুল রয়েছে। প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ১৮৫৩টি। এর ফলে প্রাথমিকের পর হাইস্কুলে পড়ার জন্য জেলার বিশেষ করে গ্রামগঞ্জের প্রচুর পড়ুয়া বাড়ির থেকে অনেকটা দূরে যেতে হয়। এতে অনেকে ড্রপ আউট হয়ে যায়। ড্রপ আউট বন্ধে শিক্ষার অধিকার আইনে বলা রয়েছে, বাড়ি থেকে যাতে এক কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে লেখাপড়া করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
Loading...
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন