কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় অবিলম্বে ৮০৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। এদিন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। তিন সপ্তাহের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এবিষয়ে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা , ইন্টারভিউ লিস্টে নির্ধারিত অনুপাত মেনে চলা, পাশাপাশি ক্যাটাগরি , সংরক্ষণের নীতি এই সমস্ত বিষয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করেন শর্মিলা মণ্ডল। এর পরে হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানি না দেওয়া পর্যন্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এরপর তা খারিজের আবেদন জানিয়ে পাল্টা মামলা করার আবেদন জানান রেকমেন্ডেশন পাওয়া হবু শিক্ষকরা। মোট দুই হাজারের মতো প্রার্থীকে রেকমেন্ডেশন লেটার দিয়েছিল কমিশন। তার মধ্যে ৮৯০ জনের নিয়োগপত্র ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গেছে। প্রক্রিয়া চলাকালীন ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা মামলা দায়ের করেন।
আদালতে ২২ টা শুনানি হয় এই মামলার। শেষ পর্যন্ত ১ নভেম্বর বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে দেন। আদালত নির্দেশ দেয়, ১৩ ডিসেম্বরের পর নিয়োগপত্র দিতে পারবে কমিশন। এর মধ্যে যদি কোনও প্রার্থীর কিছু অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি জানাতে পারবেন কমিশনকে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৩ ই ডিসেম্বর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। কিন্তু দিলরুবা আফ্রজ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এর পরে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। অবশেষে আজ মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চে। মামলার শুনানিতে ৮০৩ জন রেকমেন্ডেশন পাওয়া প্রার্থীদের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরি বলেন," আমাদের পার্টি না করেই হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি যে ১৬৯৩ জনের প্যানেল প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, তার মধ্যে ৮৯০ জন কে ইতিমধ্যেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়ে গেছে।
আমরা ৮০৩ জন প্রার্থী রেকমেন্ডেশন পাওয়ার পরও নিয়োগপত্র পাচ্ছি না।" এর পরে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন "যেহেতু ইতিমধ্যে অর্ধেক নিয়োগপত্র দেওয়া হয়ে গেছে তাই স্কুল সার্ভিস কমিশন বাকিদেরও অবিলম্বে নিয়োগপত্র দিয়ে দিক। আমি এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করব না।" আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরি বলেন," বিচারপতির এই নির্দেশ দেওয়ার পর স্কুল সার্ভিস কমিশন সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে শুরু দেয়। এর পরে বিচারপতি তিন সপ্তাহের মধ্যে তা হলফনামা দিয়ে কোর্টকে বিস্তারিত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
Loading...
Loading...


0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন