রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে কোনও কোনও জায়গায় চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীরা বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছেন।
আবার কোথাও তারা সুযোগ পায় নি। দ্রুত এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। চুক্তিতে নিযুক্ত সব কর্মী যাতে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পান, সেটা নিশ্চিত করার দাবি করেছে সংগঠন।
অস্থায়ী কর্মীরা বছরে ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পান। প্রতি বছর জুলাই মাসে সেটা কার্যকর হয়। গত বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের জন্য দুই হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করেন। এরপর অর্থ দফতর নির্দেশিকা জারি করে তা গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর করে দেয়। সরকারি নিয়ম নীতি মেনে চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মীদের বেতন এর জেরে দুই হাজার টাকা করে বেড়ে যায়।
এরপর ওই কর্মীরা জুলাই মাস থেকে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সুবিধাও পেতে থাকেন। কিন্তু গত ৯ জানুয়ারি ডিরেক্টরেট অব ট্রেজারির জয়েন্ট ডিরেক্টর বিভিন্ন ট্রেজারিতে চিঠি পাঠান। তাতে বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসের পর যে চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের বেতন বাড়ে তাঁরা ফের জুলাই মাসের বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন না। ওই বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাননি ও গত ৬ মাস ধরে কাজ করছেন, এমন কর্মীদেরই শুধু বাৎসরিক ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হবে। এটা কার্যকর হলে অধিকাংশ চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি না হওয়ার ফলে বেতন কমে যাবে। ইতিমধ্যে যে বর্ধিত টাকা দেওয়া হয়েছে, সেটাও কেটে নেওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও আছে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের যে ৩ শতাংশ হারে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি হবে, তা অর্থ দফতর ২০১১ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়। অর্থ দফতরের একটি শাখা সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এখন অর্থ দফতরের অন্য একটি শাখা লিখিতভাবে বার্ষিক বৃদ্ধির ব্যাপারে আপত্তি করেছে। এতে তাঁরা বিভ্রান্ত। স্থায়ী কর্মীরা বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে পদোন্নতি বা কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্স স্কিমের জন্য বেতন হারের বৃদ্ধির সুযোগ পান। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির পর নতুন বেতন হারের সুবিধা দেওয়া হয়।
অস্থায়ী কর্মীরা বছরে ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পান। প্রতি বছর জুলাই মাসে সেটা কার্যকর হয়। গত বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের জন্য দুই হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি ঘোষণা করেন। এরপর অর্থ দফতর নির্দেশিকা জারি করে তা গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর করে দেয়। সরকারি নিয়ম নীতি মেনে চুক্তিতে নিযুক্ত গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মীদের বেতন এর জেরে দুই হাজার টাকা করে বেড়ে যায়।
Loading...
রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের যে ৩ শতাংশ হারে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি হবে, তা অর্থ দফতর ২০১১ সালে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়। অর্থ দফতরের একটি শাখা সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এখন অর্থ দফতরের অন্য একটি শাখা লিখিতভাবে বার্ষিক বৃদ্ধির ব্যাপারে আপত্তি করেছে। এতে তাঁরা বিভ্রান্ত। স্থায়ী কর্মীরা বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে পদোন্নতি বা কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্স স্কিমের জন্য বেতন হারের বৃদ্ধির সুযোগ পান। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির পর নতুন বেতন হারের সুবিধা দেওয়া হয়।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন