রাজ্যে দীর্ঘ দিন শিক্ষক নিয়োগ না হবার কারণে ক্ষোভ ছড়িয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী যে কথা বললেন তাতে কিছুটা হলেও খুশি নতুন পরীক্ষার্থীরা।
ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত মোটামুটি ঠিক রাখতে বিভিন্ন বিধায়কের কাছে স্থানীয় স্কুলের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক জ্যোতির্ময় করের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছি।তবে, বহু জায়গায় এর বিন্যাস ঠিক পথে হয় নি।
মন্ত্রী আবেদন করেন, স্থানীয় স্কুলগুলিতে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত কেমন, তা বিধায়করা যেন শিক্ষাদফতরকে জানান। শিক্ষকের আভাব থাকলে সেই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। প্রসঙ্গত এই হিসেব দফতরের তরফেও ডিআইদের মাধ্যমে নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই হিসাব জানতে বিধায়কদের উপরও ভরসা করছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বাম আমলের চেয়ে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ভালো জায়গায় রয়েছে। এখন প্রাথমিকে ২০ জন, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ৪১ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯ জন পড়ুয়া পিছু একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। তাই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত সন্তোষজনক হলেও এই বিন্যাস সঠিক নেই। শিক্ষকের অভাবে বেহাল স্কুল বা পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকতে থাকা স্কুল, সব ধরনের তথ্যই বিধায়করা দিতে পারেন এই দফতরকে।
বিধায়ক জাহানারা বেগমের প্রশ্নের উত্তরে পার্থবাবু নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন, রাজ্যের শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলি (এসএসকে-এমএসকে) নিয়ে সরকারের বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেই।এর পরে তৃণমূলের মহাসচিব বামেদের খোঁচা দিয়ে বলেন, আপনারাই বলতেন, শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব। এখন বিপ্লব তো উঠেই গিয়েছে। চেতনা এসেছে। বাম আমলে এ ধরনের শিক্ষাকেন্দ্র তৈরি করে সেই শিক্ষকদের আমাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে এগুলি পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে ছিল। এখন শিক্ষাদফতরের অধীনে এসেছে। এখানকার শিক্ষকদের বলা হয়েছে, ৬০-এর কম বয়স থাকলে এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা যথাযথ থাকলে তাঁরা স্কুলে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য সরকার এসএসকে-এমএসএকে শিক্ষা সহায়কদের ভাতাও অনেকটাই বাড়িয়েছে।
ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত মোটামুটি ঠিক রাখতে বিভিন্ন বিধায়কের কাছে স্থানীয় স্কুলের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক জ্যোতির্ময় করের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করেছি।তবে, বহু জায়গায় এর বিন্যাস ঠিক পথে হয় নি।
শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, বাম আমলের চেয়ে শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ভালো জায়গায় রয়েছে। এখন প্রাথমিকে ২০ জন, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ৪১ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯ জন পড়ুয়া পিছু একজন করে শিক্ষক রয়েছেন। তাই ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত সন্তোষজনক হলেও এই বিন্যাস সঠিক নেই। শিক্ষকের অভাবে বেহাল স্কুল বা পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকতে থাকা স্কুল, সব ধরনের তথ্যই বিধায়করা দিতে পারেন এই দফতরকে।
Loading...
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন