নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এই রাজ্যে নতুন ঘটনা নয়। এখনও শিক্ষক নিয়োগ আটকে আছে। আর এই বিতর্কের মধ্যে ফের ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত যা এই মুহূর্তে খুবি গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন, '৩০টি পদ ফাঁকা রেখে বাকি শূন্য পদগুলিতে নিয়োগ করা যাবে।'
ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অস্বচ্ছতা হয়নি বলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি কার্যত খারিজই করে দিলেন বিচারপতি।২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৭ সালে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এক বছর বাদে অর্থাৎ ২০১৮ সালে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য মেধা তালিকা তৈরি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
অনেক বিতর্কের পরে ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়।প্রথম পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন হবু শিক্ষক। তাঁদের অভিযোগ ছিল, 'স্কুল সার্ভিস কমিশন যে মেধা তালিকা তৈরি করেছে, তাতে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। প্রশিক্ষণ নেই যাঁদের, তাঁদের নামও নিয়োগ তালিকায় রয়েছে। এমনকি, যাঁরা সংরক্ষিত আসনে পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁদের প্রথম দিকে স্থান থাকার পরেও প্যানেলে অনেক পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, 'নিয়োগ তালিকা অস্বচ্ছ। দুর্নীতির কারণেই প্রশিক্ষণ-হীন প্রার্থীরাও সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন যারা আসল যোগ্য প্রার্থী।' এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ জানতে চান, 'কতগুলি শূন্যপদে নিয়োগ বাকি রয়েছে?' জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, '৭০টি পদ এখনও খালি রয়েছে।' তখন বিচারপতি নির্দেশ দেন, 'যেহেতু ৩০ জন চাকরি-প্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন, তাই ৩০টি পদ ফাঁকা রেখে, বাকি ৪০ পদে নিয়োগ করতে পারে কমিশন।'
Loading...
এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, 'নিয়োগ তালিকা অস্বচ্ছ। দুর্নীতির কারণেই প্রশিক্ষণ-হীন প্রার্থীরাও সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। বঞ্চিত হয়েছেন যারা আসল যোগ্য প্রার্থী।' এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ জানতে চান, 'কতগুলি শূন্যপদে নিয়োগ বাকি রয়েছে?' জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, '৭০টি পদ এখনও খালি রয়েছে।' তখন বিচারপতি নির্দেশ দেন, 'যেহেতু ৩০ জন চাকরি-প্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন, তাই ৩০টি পদ ফাঁকা রেখে, বাকি ৪০ পদে নিয়োগ করতে পারে কমিশন।'
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন