করোনার কারণে গোটা দেশে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউন চলার কারণে ভারতীয় অর্থনীতিতে আসতে চলেছে বড় রকমের বিপর্যয়। এমনটাই মনে করছে অর্থনীতিবিদদের অনেকেই। এবার লকডাউনের জেরে বেতন অধরা বেশ কিছু শিক্ষকের। প্রায় চার মাস ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩২ জন পার্শ্বশিক্ষক বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ফলে প্রচণ্ড সমস্যার মুখে পড়েছেন ওই সমস্ত শিক্ষকরা।
কিছু-মাস আগেই পে স্কেলের দাবিতে এই শিক্ষকরা বিধননগরে দীর্ঘদিন অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। যদিও পরে শিক্ষামন্ত্রীর কথাতে আশ্বস্ত হয়ে সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। আর তার পর থেকে সমস্যা শুরু। টানা ছুটি নেওয়ার কারণে অনেকেরই বেতন কাটা হয়। অন্যান্য জেলার পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনের সমস্যা মিটলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩২ জনের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি।
এই ব্যাপারে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলিতে একটি বিশেষ নিয়ম আছে, তার জন্যই এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিয়মটি হল, কোনও শিক্ষক যদি উইদাউট পে-তে থাকেন, তবে তাঁর বেতন চালু করার আগে শুনানি করতে হয়। সেই শুনানি যথা সময়ে হয়নি। আর এই কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। এই ব্যাপারে জেলা শিক্ষা আধিকারিক মেঘনা পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
অপরদিকে স্কুল গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশ-তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আগেই। কিন্তু তার পরেও আটকে রয়েছে সাতজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন। জিটিএ-এর শিক্ষা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা মানবেন্দ্র মোদক জানিয়েছেন, তিন-চারটি স্কুলের সাতজন শিক্ষকের এই সমস্যা আছে বলে জানি। ওই স্কুলগুলি জিটিএ-র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কয়েকমাস আগে। তাঁদের আইডি শিক্ষা দফতরে ইতিমধ্যে পাঠান হয়েছে। দফতর থেকে কেন্দ্রীয় সার্ভারে তোলার জন্য সেই আইডিগুলি পাঠানো হয়েছে। তবে লকডাউনের জন্য সমস্ত কাজ থমকে যাওয়ায় জটিলতা বেড়েছে।
Loading...
অপরদিকে স্কুল গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশ-তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আগেই। কিন্তু তার পরেও আটকে রয়েছে সাতজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন। জিটিএ-এর শিক্ষা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা মানবেন্দ্র মোদক জানিয়েছেন, তিন-চারটি স্কুলের সাতজন শিক্ষকের এই সমস্যা আছে বলে জানি। ওই স্কুলগুলি জিটিএ-র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কয়েকমাস আগে। তাঁদের আইডি শিক্ষা দফতরে ইতিমধ্যে পাঠান হয়েছে। দফতর থেকে কেন্দ্রীয় সার্ভারে তোলার জন্য সেই আইডিগুলি পাঠানো হয়েছে। তবে লকডাউনের জন্য সমস্ত কাজ থমকে যাওয়ায় জটিলতা বেড়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন