করোনা আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না রাজ্যকে। ৪ মে লকডাউন উঠলে বড় বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে, জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, "দেশের ৭০ শতাংশ করোনা রোগীই উপসর্গ-হীন। চিকিৎসকরাও চিন্তিত কীভাবে রোগী শনাক্ত করবেন, তা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে যদি ৪ মে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, তাহলে তা বড় চ্যালেঞ্জ হতে দাঁড়াবে।"
গোটা দেশের মতন আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৪। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৪ জন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, কলকাতা নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন। ৮০ শতাংশ করোনা কেস-ই কলকাতায়। জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কলকাতায় ঘিঞ্জি এলাকার সংখ্যা বেশি। তারউপর কলকাতায় লোকের আনাগোনা বেশি। সব মিলিয়ে কলকাতায় সোস্যাল ডিস্ট্যানসিং বজায় রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সবের কারণে কলকাতায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শুধু বস্তিতে নয়, কলকাতায় অন্য এলাকাতেও করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে।
মুখ্যসচিব আরও জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ১০৩ জন ছাড়া পেয়েছেন। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি থেকে নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে ৯৫৩ জনের। ১২টি ল্যাবে টেস্ট হচ্ছে। এখন ১৫,৭৮৪ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ১১,০৮৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৪,৬৯৫ জন এখনও সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, কলকাতা নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন। ৮০ শতাংশ করোনা কেস-ই কলকাতায়। জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কলকাতায় ঘিঞ্জি এলাকার সংখ্যা বেশি। তারউপর কলকাতায় লোকের আনাগোনা বেশি। সব মিলিয়ে কলকাতায় সোস্যাল ডিস্ট্যানসিং বজায় রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সবের কারণে কলকাতায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শুধু বস্তিতে নয়, কলকাতায় অন্য এলাকাতেও করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন