গোটা রাজ্য জুড়ে মারণ করোনার দাপট চলছে। করোনায় মৃত্যুতে গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গের হার সর্বাধিক। প্রায় ১৩.২ শতাংশ। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে যথাযথ নজরদারি এবং নমুনা পরীক্ষার আধিক্যও নেই।
১৪ দিন রাজ্য সফর শেষে দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে মুখ্য সচিবকে দেওয়া চিঠিতে এই অভিযোগগুলোই করেছিলেন কেন্দ্রের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিমের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এদিন মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন অজয় ভাল্লা। তিনি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা পর্যবেক্ষণ করে কেন্দ্রের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিম যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে বাংলার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
অপরদিকে, এদিন নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১২ জনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনার বলি ৭২। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন একজন। রাজ্যে মোট করোনামুক্ত ২৬৫ জন বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব। তবে অনেকটাই বেড়েছে কনটেনমেন্ট জোন বা সংক্রামক এলাকার সংখ্যা।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এদিন আরও জানিয়েছেন, এটা ঠিক যে প্রথম দিকে রাজ্যে টেস্ট কম হচ্ছিল। কারণ, আইসিএমআর অনুমোদিত ল্যাবরেটরি তখন ছিল মাত্র ১ টি। কিন্তু এখন স্বীকৃত ১৫টি ল্যাব রয়েছে। এখন গড়ে প্রায় আড়াই হাজার টেস্ট হচ্ছে রোজ। এছাড়া এনআরএস ও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে টেস্টের ছাড়পত্র পেলে টেস্টের সংখ্যা দৈনিক আরও বেড়ে যাবে।
১৪ দিন রাজ্য সফর শেষে দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে মুখ্য সচিবকে দেওয়া চিঠিতে এই অভিযোগগুলোই করেছিলেন কেন্দ্রের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিমের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এদিন মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন অজয় ভাল্লা। তিনি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা পর্যবেক্ষণ করে কেন্দ্রের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিম যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে বাংলার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন