রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এইরকম সময়ে স্কুল না খোলার ব্যাপারেই সওয়াল করছে শিক্ষকমহল। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ১০ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে। কিন্তু তার সঙ্গে স্কুলগুলি খুলে দিলে রাজ্যের কমবেশি এক কোটি ছাত্রছাত্রী বিপদের মুখে পড়বে বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।
লকডাউন উঠলেও বজায় থাকবে সামাজিক দূরত্ব-বিধি। কিন্তু একটি স্কুলে তা মেনে চলা কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে দাবি কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের। তিনি বলেন, মোটামুটি ২০ ফুট বাই ১৬ ফুটের ঘরে ১৫-১৬টি বেঞ্চ থাকে। ৬০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়া হয়। কারণ, ধরেই নেওয়া হয় উপস্থিতির হার বড়জোর ৭০ শতাংশ থাকবে। কিন্তু তাতেও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব নয়। উপস্থিতির হার তার চেয়ে বেশি হলে কয়েক ইঞ্চি দূরত্বও থাকবে না।
তাছাড়া, স্কুল স্যানিটাইজ করা আর অফিস-কাছারি স্যানিটাইজ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। স্কুলের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এদিকে, বহু স্কুলে সাফাইকর্মীই নেই। কোনও কোনও স্কুল নিজেদের তহবিল থেকে চুক্তির ভিত্তিতে অর্থ দিয়ে সাফাইকর্মী আনে। প্রাথমিক স্কুলগুলিতে তো সেই অর্থে সাফাইকর্মী পদই নেই। তাই স্যানিটাইজেশন একটা মাথাব্যথার কারণ হবে। অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা বিধিও কঠোরভাবে মেনে চলা বেশ কঠিন।
Loading...


0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন