গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের দাপট চলছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সংক্রমণ যাতে না দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে সেই কারণে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
চলতে থাকা তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের মধ্যে অনলাইনে কিছু কিছু কাজ শুরু করেছিল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর বা ডিআই অফিসগুলি। কিন্তু পেনশন রিভিশন করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন তাঁরা। স্কুল বন্ধ। তাই নথি আসছে না। এরকম একটা অবস্থায় কাজটাই পুরো থমকে গিয়েছে। ফলে, আপাতত কয়েক হাজার শিক্ষককে পুরনো হারে পেনশন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
কয়েকজন আধিকারিক জানান, ডিআই অফিসগুলি উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু বেশ কিছু নথি লকডাউনের জন্য তাঁরা হাতে পাননি। ফলে সেই কাজ করা যাচ্ছে না। কোন শিক্ষকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন? ২০১৬ সাল থেকে পরবর্তী দু’বছরে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পড়েছেন এই সমস্যায়। ওই সময় পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র তাঁরা অফলাইনেই জমা দিয়েছিলেন।
অনলাইন পরিষেবা পুরোদমে চালু হতে ২০১৮ সাল হয়ে যায়। অনেকে অনলাইনে সড়গড় না হওয়ার ফলে অফলাইনে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। আবার একটা লম্বা সময় অনলাইনে কিছু গলদের কারণে দেরি হচ্ছিল। তাই অফলাইনে জমা পড়া নথির সংখ্যা বেড়ে যায়। এদিকে, রোপা ২০১৯-এর অর্ডার মার্চের গোড়ার দিকে আসে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য। পরিবর্তিত হারে তাঁরা পেনশন পাবেন ২০১৬ সাল থেকে। তার জন্য যে 'পেপার ওয়ার্কস' করা প্রয়োজন, সেটাই লকডাউনের জন্য আটকে গিয়েছিল। অনলাইনে নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করতে গিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ বেশ কিছু তথ্য স্কুল থেকে আসবে। আর এখন তা বন্ধ।
চলতে থাকা তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের মধ্যে অনলাইনে কিছু কিছু কাজ শুরু করেছিল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর বা ডিআই অফিসগুলি। কিন্তু পেনশন রিভিশন করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন তাঁরা। স্কুল বন্ধ। তাই নথি আসছে না। এরকম একটা অবস্থায় কাজটাই পুরো থমকে গিয়েছে। ফলে, আপাতত কয়েক হাজার শিক্ষককে পুরনো হারে পেনশন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন