পরীক্ষা দেওয়ার পর পাশ করেও চাকরি পাওয়ার জন্য এখন তাকিয়ে থাকতে হয় আদালতের দিকে। আর সেই আদালতের রায়েই উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জালে জড়িয়ে।
প্রায় ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের মধ্যে। ২০১৫ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। তারপরে কেটে গিয়েছে ৫ বছর। কিন্তু আজও পাশ করা পরীক্ষার্থীরা নিয়োগের মুখ দেখল না। নতুন করে নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সম্প্রতি পরীক্ষার্থী ভানু রায়ের মামলায় বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশে জানিয়েছেন , মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না। নিয়োগ করতে হলে হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।
এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে টানা দু-মাস লকডাউনের কারণে কার্যত পথে বসিয়েছে রাজ্যের কয়েক হাজার হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। কমিশনের অনিয়মের কারণেই প্রায় ৭ বছর আটকে আছে আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাও এতদিন প্রাইভেট টিউশনে সংসার চালাচ্ছিলেন এই শিক্ষিত বেকাররা। কিন্তু লকডাউনে প্রাইভেট টিউশন বন্ধ। কবে যে সব কিছু স্বাভাবিক হবে, অনিশ্চিত। আদালতে এই মামলার নিষ্পত্তি কবে হবে তা কেউ জানে না। এমন সময়ে রাজ্যের টেট-উত্তীর্ণ উচ্চ-প্রাথমিকের সেই হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে এখন চরম আর্থিক সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে।
কেউ চালাচ্ছেন মুদি দোকান, কেউ সাইকেল-ভ্যানে ডিম-সব্জি বেচছেন, কেউ চালাচ্ছেন টোটো। ভূগোলের শিক্ষক পদপ্রার্থী দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারির পাথরঘাটার রঞ্জিতকুমার দে বলেন, ' বাবা মারা গিয়েছে আগেই, বাধ্য হয়েই দোকানের হাল ধরেছি।
সব্জিও বেচছি। ১২ জনের সংসার চালাতে হয়। বয়সটাও পেরিয়ে যাচ্ছে।' গণিতের শিক্ষক পদপ্রার্থী পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের কাদুয়া পশ্চিমবার গ্রামের গৌরাঙ্গ মাইতি জানান, এতদিন টিউশন করে সংসার চলত। কিন্তু লকডাউনে সেই ইনকাম এখন বন্ধ। তাই ডিম বিক্রি করছেন। ইতিহাসের হবু শিক্ষিক আরামবাগের আজিজুল ইসলাম বলেন, 'আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার। কবে যে চাকরি হবে, আদৌ হবে কি না, জানি না। লকডাউন সব কিছুই ওলোটপালট করে দিল। তাই টোটো চালাচ্ছি।'
প্রায় ১৪০০০ শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল ২০১৭ সালের মধ্যে। ২০১৫ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। তারপরে কেটে গিয়েছে ৫ বছর। কিন্তু আজও পাশ করা পরীক্ষার্থীরা নিয়োগের মুখ দেখল না। নতুন করে নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের কারণে টানা দু-মাস লকডাউনের কারণে কার্যত পথে বসিয়েছে রাজ্যের কয়েক হাজার হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। কমিশনের অনিয়মের কারণেই প্রায় ৭ বছর আটকে আছে আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাও এতদিন প্রাইভেট টিউশনে সংসার চালাচ্ছিলেন এই শিক্ষিত বেকাররা। কিন্তু লকডাউনে প্রাইভেট টিউশন বন্ধ। কবে যে সব কিছু স্বাভাবিক হবে, অনিশ্চিত। আদালতে এই মামলার নিষ্পত্তি কবে হবে তা কেউ জানে না। এমন সময়ে রাজ্যের টেট-উত্তীর্ণ উচ্চ-প্রাথমিকের সেই হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে এখন চরম আর্থিক সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে।
কেউ চালাচ্ছেন মুদি দোকান, কেউ সাইকেল-ভ্যানে ডিম-সব্জি বেচছেন, কেউ চালাচ্ছেন টোটো। ভূগোলের শিক্ষক পদপ্রার্থী দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারির পাথরঘাটার রঞ্জিতকুমার দে বলেন, ' বাবা মারা গিয়েছে আগেই, বাধ্য হয়েই দোকানের হাল ধরেছি।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন