মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরও শিক্ষক বদলি আটকে; আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

স্কুল শিক্ষকদের নিজের জেলায় বদলির কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরস্বতী পুজোর আগের দিন শিক্ষকদের উদ্দেশে এভাবেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে প্রায় সাত মাসের বেশি সময়। সেই তালিকা তৈরি করে এখনও বদলির কাজ শুরু করতে পারেনি বিকাশ ভবন। চাপ আসছে শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের উপরেও। প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও সংগঠনের নেতারা ক্ষুব্ধ আধিকারিকদের উপরে। 

Loading...

স্কুলের শিক্ষক নেতারা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। শিক্ষক মহলে ছিল খুশির আমেজ। কিন্তু এতদিনেও তা কার্যকর না হওয়ায় আমাদের উপর চাপ বাড়ছে। ভোটের আগে কাজটা সেরে ফেলতে পারলে শাসকদল যথেষ্ট ভালো জায়গায় থাকবে। কিন্তু আধিকারিকদের একাংশের ঢিলেমিতে এই কাজ আটকে রয়েছে। প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে অনেক চিন্তা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকার বিষয়, পোস্টের ধরন (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট নাকি গ্র্যাজুয়েট), শিক্ষার মাধ্যম, জেন্ডার বা লিঙ্গ প্রভৃতি অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হয়। তাই এসব ক্ষেত্রে বদলির কাজ একটু কঠিন। কিন্তু প্রাথমিকের ক্ষেত্রে এই কাজ সহজ। কারণ সেখানে সব পোস্টই একই ধরনের। কিছু ক্ষেত্রে শুধু মাধ্যমের বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়। কিন্তু প্রাথমিকেও তা শুরু করা যায়নি। শিক্ষকদের অনেকেই মনে করছে, এর জন্য শুধু আধিকারিকদের দায়ী করলে চলবে না। আরও অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। এতে শিক্ষক নেতাদেরও তাদের দায় এড়াতে পারেন না। 

Loading...