বিতর্কটা নতুন নয়। বেস কিছুদিন ধরে এই বিতর্কটা চলছিল। WBCS ২০১৭-র মেধাতালিকায় প্রথমে নাম থাকা ব্যক্তির প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হতে পারেননি। খোদ প্রার্থীর আরটিআই-এর উত্তরে সাফ জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
প্রতি বছর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তত্ত্বাবধানে WBCS পরীক্ষা হয়। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস ২০১৭-কে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, WBCS ২০১৭-র মেইন পরীক্ষায় ইংরাজি আবশ্যিকপত্রে প্রথমে '০' পান এক প্রার্থী। সাদা খাতা জমা দিয়েও পরে সেই প্রার্থীই হঠাৎ করে ১৬২ পেয়ে যান। ওই প্রার্থী আবার বাংলা আবশ্যিকেও ১৮ নম্বর পাওয়ার পর তা লাফিয়ে বেড়ে হয়ে যায় ১৬৮ নম্বর।
এর থেকে পরিষ্কার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি ওই প্রার্থী। তা সত্ত্বেও ক্লারিক্যাল ত্রুটির উল্লেখ করে দ্বিতীয় একটি তালিকা প্রকাশ করে ওই প্রার্থীর নাম সংযুক্ত করা হয়। মেইনস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই সামনে এসেছিল এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি।
মেইনস পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয় এই পরীক্ষার চূড়ান্ত তালিকা। আশ্চর্যজনকভাবে ওই তালিকার প্রথম স্থানেই দেখা যায় ওই প্রার্থীর নাম। তিনি ইংরাজি ও বাংলায় প্রথমে '০' ও ১৮ পেয়ে পরে ১৬২ ও ১৬৮ নম্বর পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেও তিনি কী করে প্রথম স্থান অধিকার করেন তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সরব হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরাদের একটা বড় অংশ। এখনও সেই সময় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে হওয়া জনস্বার্থ মামলা চলছে আদালতে।
Loading...
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন