জানা গিয়েছে, গত চার বছরে উচ্চ প্রাথমিকে আরও অন্তত ৫০০০ পদ শূন্য হয়েছে। নিয়োগ আটকে থাকায় করোনা পর্বের পরে পঠনপাঠন কী ভাবে চলবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।
এসএসসি-র সল্টলেকের প্রধান কার্যালয়ে পরপর কয়েক দিন ধরে কাউন্সেলিং চলে। কিন্তু করোনার জন্য এখন এ ভাবে কাউন্সেলিং কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া যে কার্যত অসম্ভব, কমিশনের কর্তারা তা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানাচ্ছেন যে, হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ তুলে অনুমতি দিলে তাঁরা একাধিক বিকল্প উপায়ে কাউন্সেলিং সম্পন্ন করার কথা ভেবে রেখেছেন।
"আমরা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু বিষয়টি এখন বিচারাধীন। তাই মন্তব্য করব না," আগেই এমন মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে হবু শিক্ষকদের অনেকেই নানান প্রশ্ন তুলেছেন। এক হবু শিক্ষকের কথায়, মাদ্রাসায় পর্যাপ্ত শিক্ষকপদ থাকা সত্ত্বেও কমিশন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা আজও নিয়োগপত্র পায় নি। তাদের কাছে বৈধ নথি ও আদালতের আদেশ থাকার পরেও তারা এখনও নিয়োগপত্র হাতে পান নি।
এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে, আপারের নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আদালতের বিচারাধীন বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু মাদ্রাসায় যেখানে আদালত নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে সেখানে নির্দেশ মানা হচ্ছে না কেন? এই প্রসঙ্গে কি বলবেন শিক্ষামন্ত্রী? আর এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় হবু শিক্ষকরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন