আপার জট কবে কাটবে? দীর্ঘ দিন আটকে আছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। একাধিক অনিয়মের অভিযোগে বেশ কিছু চাকরি প্রার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গেজেট না মানার অভিযোগ ও টেট ওয়েটেজ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আনেন পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। একি সাথে অনিয়ম করে প্রশিক্ষিত নয় এমন প্রার্থীকেও নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে দায়ের হয় মামলা। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই অনুসারে ২০১৫ সালে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছিল। পরের বছর প্রকাশিত হয়েছিল সেই পরীক্ষার ফল।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও দ্রুত শুনানি করে নিয়োগের জট কাটাতে আদালতের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এমন সময় গতকাল ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি। গতকাল আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বেশকিছু অভিযোগের জবাব দেন।
টেটওয়েটেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের টেট পরীক্ষার পুন-মূল্যায়ন করা হয়েছে ১৮ সাল পর্যন্ত। এর ফলেই টেটের নাম্বারের পরিবর্তন হয়। এর পরে তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছু সিট বাড়ছে। যদিও তার সংখ্যা আদালতে জানান নি অ্যাডভোকেট জেনারেল।
এর পাশাপাশি বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য বলেন, আক্তারুল বা ভানু রায়ের যে মামলা চলছে এই মামলায় যা অর্ডার হবে সেই রায় কার্যকর হবে এই ধরনের যাবতীয় মামলার ক্ষেত্রে। আগামী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৫ই সেপ্টেম্বর। শুনানি হবে দুপুর ১২টার সময়। ওই দিন মামলার তালিকা জমা দেবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য পেশের পরে এই মামলার রায় দিতে পারে আদালত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন