কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রজত দে হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত। সোমবার ফার্স্ট ট্র্যাক ফোর্থ কোর্টের বিচারক সুজিত কুমার ঝা এই হত্যাকাণ্ডে রজতের স্ত্রী অনিন্দিতা পাল দেকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর মাঝরাতে নিউটাউনে নিজের ফ্লাটে খুন হয়েছিলেন আইনজীবী রজতকুমার দে। এই ঘটনার পরে স্ত্রী অনিন্দিতার দাবি ছিল আত্মহত্যা করেছেন রজত। কিন্তু পুলিশি জেরায় তাঁর বয়ানে নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এরপর ময়নাতদন্তে উঠে আসে মোবাইল ফোনের চার্জার গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে আইনজীবীকে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে খুনের সময় বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না। এরপরই একাধিক তথ্য ও প্রমাণের জেরে পুলিশ গ্রেফতার করে অনিন্দিতাকে।
অনিন্দিতার মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষার পর জানা যায়, সে গুগুল সার্চে বারবার 'লিগেচার মেটিরিয়াল'- কথাটি সার্চ করেছিলেন। এই ধরনের সার্চে জানা যায় কী কী দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া যায়। অথচ প্রমাণ পাওয়া যাবে না। পুলিশের দাবি, এই সার্চের পরই অনিন্দিতা রজতের গলায় মোবাইল চার্জারের তার ফাঁস লাগিয়ে খুন করে। পাশাপাশি অনিন্দিতার করা একটি ফেসবুক পোস্টও তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে, রজত খুনের রাতেই অনিন্দিতা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, 'ম্যারেজ ইজ এ পাবলিক টয়লেট'। সেই সঙ্গে তিনি একটি খবরের লিঙ্ক শেয়ার করেন, যেখানে রয়েছে একজন মহিলা কীভাবে তাঁর স্বামীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে। এবং সেই মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে খাইয়েছিলেন রাজমিস্ত্রিকে। এই সমস্ত বৈদ্যুতিন ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই দোষী প্রমাণিত করা হয় অনিন্দিতাকে। এখন দেখার স্বামীকে খুনের দায়ে কী সাজা হয় অনিন্দিতার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন