রেলওয়ের বোর্ডের স্থায়ী কমিটিতে সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার মামলায় অবশেষে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। আজ, শুক্রবার আলিপুর আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, চার্জশিটে নাম নেই মুকুল রায়ের। তবে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে মুকুল রায়কে।
মোট চার জনের নামে চার্জশিট।
রেকর্ডিংগুলো টেস্টের জন্য চন্ডিগড়ে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হবে। মুকুল রায়ের আওয়াজ আছে কিনা, সেটাই এখন দেখার।
বিতর্কটা চলে আসছে দু-বছর আগে থেকে। ২০১৮ সালে বড়বাজারে রেলের এক আধিকারিকের কাছ থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। পরে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানো হয় মুকুল রায়কে। এরপর মুকুল রায় তদন্তকারী সংস্থাকে জানান আইও এটা করতে পারেন না। কারণ হিসাবে বলেন, তিনি দিল্লির বাসিন্দা।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার মুকুল রায়কে নোটিশ পাঠানো হয়। ২০১৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তার বয়স ৬৫ হয়ে গিয়েছে।
তাই যেখানে তিনি ইচ্ছুক সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেই মামলায় তাঁকে ১০ দিনের রক্ষাকবচ দেয় আদালত।সেইসঙ্গে কলকাতায় মামলা করার অনুমতি দেওয়া হয়। হাইকোর্টে মামলা করেন মুকুল রায়। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজ করে দেয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন