টেট উত্তীর্ণ এক হবু শিক্ষকের প্রশ্নবাণে মেজাজ হারালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। টিপ্পনী কাটলেন, 'মেজাজ হারালে টেকা দায়।'
ঠিক কী ঘটেছিল? রাজ্যে টেট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক কম হয় নি রাজ্যে। এবার প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর অডিও। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদে নিয়োগ করা এখন সম্ভব নয়। যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা নিউজ কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হচ্ছে, টেট পাশ করে থাকুন না কেন, এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের পক্ষে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।
গতকাল(রবিবার) রাতের দিকে একটি অডিও ক্লিপ নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা অধ্যাপক অনুপম হাজরা। যেখানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এক টেট পাশ করা ব্যক্তির কথোপকথন শোনা গিয়েছে। আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর খবর। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, "প্রায় এক বছর ধরে স্কুল বন্ধ। কোনও লেখাপড়া হচ্ছে না, তাও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনের টাকা দিতে হচ্ছে। এখন আর নতুন করে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।"
রাজ্যের অনেক সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছে বলেও ওই ভিডিওতে দাবি করছেন শিক্ষামন্ত্রী। ওই টেট পরীক্ষার্থী শিক্ষামন্ত্রীকে জানান যে সংবাদ মাধ্যমের অনুষ্ঠানে তাঁর(পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের) বক্তব্য শুনে তিনি টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই ভরসাতেই তিনি রয়েছেন। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, "আমার ভরসায় থাকবেন না। নিজের যোগ্যতার উপরে ভরসা করুন।
ওই অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষামন্ত্রীকে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি লেখেন, 'পার্থ দা, মেজাজ হারাবেন না, জনগণ মেজাজ হারালে তখন পশ্চিমবঙ্গে টেকা দায় হবে। বেচারা প্রার্থী খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করার পর, এত বছর অপেক্ষা করার পর, ট্রেনিং করার পর, আপনার কাছ থেকে জাস্ট কিছু জিনিস জানতে চেয়েছে, তৃণমূল সরকার টেট নিয়ে কতটা দুর্নীতি করেছে সবাই জানে বা বুঝতে পারে, তাই চাকরি না দিতে পারেন, অন্ততপক্ষে চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ভালোভাবে কথা তো বলুন।'
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন