সামনে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন শাসক দল তৃণমূলের কাছে খুব একটা সহজ হবে না। কারণ রাজ্যে বিজেপির উত্তান বেশ বোঝা যাচ্ছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একাধিক হেভি-ওয়েট নেতাকে হারাতে পেরেছে বিজেপি।
এমন আবহে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে নিয়োগ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই টেট পাশ করা সবার চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক মমতা বলেন, যাঁরা টেট পাশ করেছেন তাঁদের সবাইকে চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নিয়োগের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিতে চায় তৃণমূল। আর তা না হলে বিপদ বাড়বে। আর সেটা বুঝে মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মাফিক যদি নিয়োগের কাজ শেষ করতে পারে সরকার, তাহলে যুবকদের একটা বড় অংশের সমর্থন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তা না হলে নির্বাচনে বড় রকমের ধাক্কা ফেতে পারে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার কবে নিয়োগের কাজ শুরু হয়। আর সেই দিকে তাকিয়ে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন পর টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবে আশার আলোর জেগেছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেছেন, "প্রাইমারি না আপার প্রাইমারি, কোথায় নিয়োগ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে বিভ্রান্তি বাড়ছে প্রার্থীদের মধ্যে। তৈরি হচ্ছে অনিশ্চয়তা।" এই সংগঠনের দাবী, "অতি দ্রুত গেজেট বিধি মেনে অনুপাতের ভিত্তিতে শূন্যপদে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সাত বছর ধরে চলতে থাকা নিয়োগ বঞ্চনার মুক্তি দেওয়া হোক।" আপার প্রাইমারি না প্রাইমারিতে নিয়োগ? এই প্রশ্নে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে ২০১৫ সালে টেট পাস ঐক্য মঞ্চও।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন