মাদ্রাসা কমিশনের সুপারিশ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও শিক্ষকতার চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি মহম্মদ জামিরকে। ২২ ডিসেম্বর তাঁকে সেই চাকরিতে যোগ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কমিশনের সুপারিশ থাকার পরেও প্রায় ২২ মাস তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
ষষ্ঠ এসএলএসটি পরীক্ষা হয় ২০১৩ সালে। সফল মহম্মদ জামিরকে ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানা এলাকার খবরগাঁও রাহাতপুর হাই মাদ্রাসায় উর্দু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল কমিশন।
হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত নির্দেশ ওই মাদ্রাসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে ইসলামপুর থানার আইসিকে। কমিশনের সুপারিশ মতো মহম্মদ জামিরকে নিয়োগের ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করল, তা ১৬ ডিসেম্বরের শুনানিতে পেশ করতে বলেছিলেন বিচারপতি। তবে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বা সম্পাদক কেউই ওইদিন হাইকোর্টে আসেননি। এমনকী বর্তমানে যিনি প্রশাসক, তিনিও গরহাজির ছিলেন।
এই প্রেক্ষাপটে আদালত তার রায়ে বলেছে, ২২ ডিসেম্বর মহম্মদ জামির ওই মাদ্রাসায় যাবেন। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সেখানে কাজে যোগ দিয়েছেন, এমনটাই ধরে নিতে হবে। সেদিন থেকেই তাঁর যে বেতন ও ভাতা প্রাপ্য। এই নির্দেশ হাতে পাওয়ার দু-মাসের মধ্যে ওই প্রাপ্য তাঁকে মিটিয়ে দিতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন