যুবক-যুবতীকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী? পড়ুন

 

জলপাইগুড়ির অরবিন্দ ব্যায়ামাগার পাঠাগার ও ক্লাবের সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মঞ্চে তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখে না বিজেপি। এখন ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিল বিজেপি। ২ লাখ চাকরিও দেয়নি। ওরা এখন চাকরির ফর্ম বিলি করছে। চাকরির ফর্ম বিলি করে কী হবে? এখন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ওদের প্রতিশ্রুতি মানে ধোঁকা। 

প্রসঙ্গত, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।

Loading...

আর ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দল। চলছে দল বদলের খেলা। আর এর সঙ্গে সমানে চলছে প্রতিশ্রুতির বন্যা। একুশের আগে বেকারদের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপি নেতৃত্বের। এবার চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড দেবে বিজেপি। ক্ষমতায় এলেই নিয়োগ করা হবে ৭৫ লক্ষ যুবক-যুবতীকে, দাবি গেরুয়া শিবিরের। রবিবারই এই কার্ডের প্রথম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। বিজেপির এই ঘোষণার আশার আলো দেখতে শুরু করেছে রাজ্যের যুব সমাজ। ভোটকে পাখির চোখ করেই এই ঘোষণা, মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রবিবার বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হল সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের শাসনকালে বাংলায় বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। এর পাশাপাশি চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ডের কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র খাঁ।

তিনি বলেন, "আগামী ২ মাসের মধ্যে বিজেপি পৌঁছে যাবে ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে। তাঁদের নাম-ঠিকানা নথিভুক্ত করে রাখা হবে। একুশের নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই এদের নিয়োগ হবে। বাংলার বেকারত্ব সমস্যা ঘুচবে।" 

বাংলার বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, "এখন রাজ্যে শিল্প সম্মেলন হয়। কিন্তু বিনিয়োগ হয় না। সিঙ্গুরেও কিছু হয়নি। টাটাকে তাড়ানো ছিল সব থেকে বড় ভুল।" যদিও টাটাদের তাড়ানোর সময় মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূলে। তিনি টাটাকে তাড়াতে সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। 

Loading...